জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে নার্ভাস হয়ে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে

জয়ের ভিতটা তো তৈরি করে গেলেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারানই। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ৯৫ রানের ওপেনিং জুটি। কিন্তু এরপরও ম্যাচটি জিততে হয়েছে কঠিন লড়াই করে। মূলত জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কারণেই জিম্বাবুয়ে শেষ দিকে নার্ভাস হয়ে পড়েছিল বলে জানান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে এই জয়ের আগের ১০ টেস্টের ৮টিতেই হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। বাকি দুটিও ড্র। শেষ সাত বছরে ছিল মাত্র একটি জয়। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের এমন কাছাকাছি এসে তা হাতছাড়া করতে চায়নি জিম্বাবুয়ে। আরভিনের ভাষায়, এই কারণেই শেষ দিকে স্নায়ুচাপে পড়ে গিয়েছিল দলটি। যদিও কোনো বিপদ হয়নি তাদের।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অকপটে বিষয়টি স্বীকার করেন অধিনায়ক আরভিন, 'ড্রেসিং রুম কিছুটা টেনশনে ছিল। আমরা সাধারণত চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার অবস্থায় থাকি না, তাই ব্যাপারটা নতুন ছিল। আসলে এটা বেশি ছিল জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে আসা একধরনের নার্ভাসনেস। আমরা জিততে চেয়েছিলাম, যেকোনো কিছুর চেয়েও বেশি।'

আর এই জয় বিশ্ব ক্রিকেটে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, 'যত বেশি টেস্ট ম্যাচ জেতা যাবে, ততই দল নজরে আসবে। টেস্ট যতটা কঠিন হোক না কেন, এটা সেই ফরম্যাট যা খেলোয়াড়রা খেলতে চায় এবং উন্নতি করতে চায়। টেস্ট ক্রিকেট সত্যিকার অর্থে খেলোয়াড়দের পরীক্ষা নেয় চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে। ছোট দলগুলো শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো ও কঠিন টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চায়। কারণ, এটাই একমাত্র পথ দল হিসেবে উন্নতি করার।'

টেস্টের প্রথম দুই দিনে জিম্বাবুয়ের দাপট থাকলেও তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ দিনে আবার হতাশ করে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। আর এটা মূলত সম্ভব হয়েছে পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বোলিং তোপে। একাই ছয়টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।

তবে দলের সকল বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন অধিনায়ক, 'এই টেস্টে আমাদের মূল স্ট্রাইক বোলার ছিল ব্লেসিং (মুজারাবানি)। আমি ওকে ছোট ছোট স্পেলে বোলিং করাচ্ছিলাম। রিচি (রিচার্ড এনগাভারা) আর ভিকি (ভিক্টর নিয়াউচি) অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে আক্রমণ ধরে রাখতে। ওয়েলি (ওয়েলিংটন মাসাকাদজা) আর ওয়েসলি মাধেভেরেও ভালো বোলিং করেছে। ওদের স্পেলের মাঝখানে খুব বেশি রান না দেওয়া ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন ব্লেসিং ফিরে আসে এবং তার স্পেলগুলো চালিয়ে যায়, সে প্রতিপক্ষের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়।'

'আমরা শুরুতেই উইকেট নিতে চেয়েছিলাম। শান্তকে প্রথম ওভারেই আউট করতে পারা আমাদের জন্য দারুণ ছিল। ব্লেসিং যেভাবে শুরু করেছিল, সেটা অসাধারণ ছিল। সেটা আমাদের চাপ প্রয়োগের সুযোগ এনে দেয়। জাকের আলি নিচের দিকে ভালো একটা ভূমিকা রেখেছে,' যোগ করেন আরভিন।

Comments

The Daily Star  | English

‘People's will, not mine’

Yunus tells Malaysia's Bernama why he stepped into Bangladesh's political hot seat

43m ago