দুবাই বিমানবন্দরে দুই রাত আটকে ছিলেন নাহিদ-রিশাদ

Nahid Rana & Rishad Hossain

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ১৪ মে প্রথম বহরেই দুবাই রওয়ানা হয়েছিলেন নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। তবে এই দুই ক্রিকেটার দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারলেন গত রাতে। কারণ ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় বিমানবন্দরেই আটকে ছিলেন দুজন। জটিলতা কাটিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতের পর দলে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট জানায় প্রথম ম্যাচ খেলতে প্রস্তুত দুজন।

এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বৈধ ভিসাই ছিলো না নাহিদ-রিশাদের, 'দুটো ভিসাই ইমিগ্রেশন নিরাপত্তা পরীক্ষার অধীনে ছিল। তারা এখানে আসার পর আমরা নতুন ভিসার জন্য আবেদন করি। তারা বৈধ ভিসা ছাড়াই এসেছিল।'

এই কর্মকর্তা জানান, 'তারা দু'রাত বিমানবন্দরে ছিলেন। নতুন ভিসা পাওয়ার পরই তারা ১৬ তারিখ গভীর রাতে (১৭ তারিখ প্রায় ভোরে) দলের সঙ্গে যোগ দেন।'

এই ব্যাপারে দ্য ডেইলি স্টারকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার নাফীস বলেন, "তারা গতকাল (গভীর রাতে) দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইমিগ্রেশন বিভাগ আসল সমস্যাটি জানায় না। তারা দু'জনই এক রাত বিমানবন্দরের হোটেলে ছিলেন। আজ তারা খেলার জন্য এভেইলেবল।'

 গত ১৪ মে সকালে রিশাদ ও নাহিদ প্রথম বহরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন, কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ভিসা জটিলতার কারণে তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিমানবন্দরের হোটেলে থাকতে হয়েছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অংশ নেওয়ার পর আগেভাগে পাকিস্তান থেকে ফেরার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পিএসএল আকস্মিকভাবে স্থগিত হওয়ার পর রিশাদ ও নাহিদসহ বিদেশি খেলোয়াড়দের বিশেষ ব্যবস্থায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সম্ভবত সেই সময়কার কোনো সমস্যার কারণেই এবার তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শারজায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক দল।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

10h ago