কলম্বোর উইকেট দেখেই শেখ মেহেদীকে খেলানোর চিন্তা করেন লিটন

sheikh mehedi & Litton Das
ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

আগামী ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন দাসকে অধিনায়ক করার পাশাপাশি সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিলো শেখ মেহেদী হাসানকে। সহ-অধিনায়ক হলেও গতকালের আগের চার ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি তার। লিটন জানান, পারফরম্যান্স নয় কন্ডিশন বিচার করেই শেখ মেহেদীকে খেলানো কিংবা না খেলানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা। বোলিং উইকেটে একাদশে থাকবেন শেখ মেহেদী, ব্যাটিং উইকেট হলে খেলবেন মিরাজ। বাংলাদেশ হাঁটবে সে পথেই।

কলম্বোতে বুধবার রাতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন শেখ মেহেদী। ৪ ওভার বল করে এক মেডেনসহ ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ম্যাচ সেরাও হন এই অফ স্পিনার।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি, তার আগে পাকিস্তান সফরের শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে মেহেদী দলে ছিলেন না। তার বড় কারণ আগের ম্যাচগুলোতে খরুচে বোলিং। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শারজায় হতাশ করেন তিনি।

চার ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকা শেখ মেহেদী ফিরেই দেখালেন সেরা ছন্দ। তবে এই পারফরম্যান্সের জোরে তিনি সব সময় একাদশে থাকবেন এমন না, লিটন জানান শেখ মেহেদী ও মেহেদী হাসান মিরাজকে খেলানো হবে কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে,  'শেখ মেহেদী যতই ভালো পারফর্ম করুক, অধিনায়ক হিসেবে যখন দল বানাবো তখন আমি চেষ্টা করব উইকেট নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে। যদি আমি মনে করি উইকেট বোলিং ফ্রেন্ডলি হবে তাহলে অবশ্যই সব ম্যাচে শেখ মেহেদীকে খেলাব। যেদিন বুঝব উইকেট ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি সেদিন আবার মিরাজ ব্যাক করবে।'

প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের উইকেটে বোলারদের জন্য অনেক কিছু দেখতে পেরেই শেখ মেহেদীকে খেলানোর চিন্তা করেন লিটন। অকপটেই জানালেন তা,  'শেখ মেহেদীকে খেলানোর পেছনে যে কারণ ছিল... আমরা বিশ্বাস করি মেহেদীর যে স্কিল তাতে কলম্বোর উইকেট তার জন্য উপযুক্ত। তার মানে এই নয় মেহেদী ভালো উইকেটে কিংবা অন্য উইকেটে ভালো বোলিং করতে পারবে না। যখন আমরা জানি আমাদের শেষের ম্যাচটা এখানে তখন থেকেই পরিকল্পনা ছিল এই মাঠে কেউ খেলুক আর না খেলুক শেখ মেহেদী খেলবে।'

শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দেশের বাইরে আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেন লিটন। এমন অর্জনে অনেক খুশি তিনি,  'প্রথমত, একজন অধিনায়কের জন্য যেকোনো সিরিজ জয়ই একটা ভালো অনুভূতি। আমার মনে হয় বাংলাদেশের সমর্থক হিসেবে আপনারাও অনেক খুশি। যারা ক্রিকেট লাভার তারাও অনেক খুশি যে আমরা শ্রীলঙ্কার মাঠে এসে ম্যাচ জিততে পারছি। এই মুহূর্তে আমি অনেক খুশি।'

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

6h ago