স্টোকসের ঝুঁকি নেওয়া দেখে মুগ্ধ রুট

লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে নাটকীয় এক জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। তবে এরজন্য নিজের শরীরকেই বাজি রাখতে হয়েছে অধিনায়ককে। এমনটাই জানালেন সাবেক অধিনায়ক ও সতীর্থ জো রুট।
চোটপ্রবণ এই অলরাউন্ডার দুই ইনিংস মিলিয়ে বল করেছেন ৪৪ ওভার, নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট, করেছেন ৭৭ রান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রানআউট করেছেন রিশাভ পান্তকে। তাতে ভর করেই ২২ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, গত এক বছরে দুটি গুরুতর হ্যামস্ট্রিং চোট সত্ত্বেও স্টোকস যে পরিমাণ বল করেছেন, তা গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। শেষ দিনে তিনি একটানা বল করেছেন ৯.২ ও ১০ ওভারের দুইটি দীর্ঘ স্পেল।
স্টোকসকে থামানোর চেষ্টা করেও সফল হননি রুট, এমনকি নিজে অধিনায়ক থাকাকালেও সম্ভব হয়নি। রুটের ভাষায়, 'তুমি চেষ্টা করতে পারো, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয় না। আমি পাঁচ বছর ধরে চেষ্টা করেছি। আমি বলেছিলাম ওকে একটু বিশ্রাম নিতে, কিন্তু সে তো সবসময় আমার কথা শোনে না। আমি অধিনায়ক থাকাকালেও শোনেনি!'
'এখন ওর সিদ্ধান্ত ওকেই নিতে হবে। ও যা করেছে, সেটা অসাধারণ। আসলে ওর গঠনটাই এমন, সবসময় নায়ক হতে চায়, পরিস্থিতি বদলাতে চায়। এটা আমাদের জন্য দারুণ বার্তা। ও আবার নিজের সেরা রূপে ফিরেছে। ওর জয়ের তাড়না, মনোভাব সবই ফিরে এসেছে। এমন একজন নেতা পেয়ে আমরা ভাগ্যবান,' যোগ করেন রুট।
প্রথম ইনিংসের এক পর্যায়ে ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বোলিং কনসালট্যান্ট টিম সাউদির মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ককে বিশ্রাম নিতে বলার জন্য। রুট নিজেও দুশ্চিন্তায় ছিলেন স্টোকসের শরীর ভেঙে পড়বে কিনা তা নিয়ে। তবে এখন তিনি স্বীকার করেন স্টোকস নিজেই জানেন কতদূর তিনি যেতে পারবেন।
'আমি তো আতঙ্কে ছিলাম, ভাবছিলাম খেলাটা হয়তো শেষ করতে পারবে না। তবে সে এখন নিজের শরীরের প্রতি আত্মবিশ্বাসী। কী করছে, তা সে জানে এবং শারীরিক দিক থেকে নিজের অবস্থান সে খুব ভালোভাবে বোঝে,' বলেন রুট।
ম্যাচশেষে ক্লান্তির কথা গোপন করেননি স্টোকসও। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'এখন শুধু চাই আমার বিছানায় গা এলিয়ে দিতে চার দিন, তারপর চতুর্থ টেস্টের জন্য তৈরি হয়ে উঠবো।'
ম্যানচেস্টারে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট শুরু হবে ২৩ জুলাই।
Comments