এবার আইপিএলকেও বিদায় বলে দিলেন অশ্বিন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ভারতের অনেক তারকা আইপিএল খেলা চালিয়ে যান। কিংবদন্তি অফ স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন সে পথে হাঁটলেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে আইপিএলকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি।
এই অভিজ্ঞ স্পিন বোলার এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ তার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা চালিয়ে যাবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, 'বলা হয়, প্রতিটি শেষেরই একটি নতুন শুরু থাকে, একজন আইপিএল ক্রিকেটার হিসেবে আমার সময় আজ শেষ হচ্ছে, কিন্তু বিভিন্ন লিগে একজন নতুন অভিযাত্রী হিসেবে আমার সময় আজ থেকে শুরু হচ্ছে।'
অশ্বিন লেখেন, 'বছরের পর বছর ধরে তৈরি হওয়া চমৎকার স্মৃতি এবং সম্পর্কের জন্য আমি সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত আমাকে যা কিছু দিয়েছে তার জন্য আইপিল এবং বিসিসিআইকে ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আমার জন্য যা কিছু অপেক্ষা করছে, তার পুরোপুরি উপভোগ করতে এবং সেগুলোর সদ্ব্যবহার করতে আমি উন্মুখ।'
Special day and hence a special beginning.
They say every ending will have a new start, my time as an IPL cricketer comes to a close today, but my time as an explorer of the game around various leagues begins today.
Would like to thank all the franchisees for all the…— Ashwin (@ashwinravi99) August 27, 2025
গত আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) তাকে ৯.৭৫ কোটি রুপিতে কিনে নেয়। দীর্ঘদিন পর চেন্নাইতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল অশ্বিনের। কিন্তু অশ্বিন খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি, সাদামাটা মৌসুম কাটিয়ে নয় ম্যাচ খেলে সাত উইকেট নেন।
২০০৯ সালে সিএসকের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় অশ্বিনের। ৩৮ বছর বয়সী অফ-স্পিনার একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মোট ২২১টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৮৭টি উইকেট শিকার করেছেন। ২০১০ এবং ২০১১ সালে সিএসকের শিরোপা জয়ের পেছনে অশ্বিনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল, যেখানে তিনি যথাক্রমে ১৩ এবং ২০টি উইকেট নেন। ২০১০ সালে সিএসকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি জয়েও অশ্বিন সিরিজসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। পরে তিনি রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্ট, পাঞ্জাব কিংস (যার অধিনায়ক ছিলেন), দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়েও খেলেছেন।
২০০৯ সালে অভিষেক থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অশ্বিন টানা সিএসকের হয়ে খেলেন, যেখানে তিনি মোট ৯০টি উইকেট নেন। ২০১৬ সালে সিএসকে নিষিদ্ধ হলে তিনি পুনে সুপার জায়ান্টে যোগ দেন, সেখানেও তার অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনজুরির কারণে ২০১৭ সালের মৌসুমে খেলতে পারেননি। ২০১৮ সালে পাঞ্জাব কিংস তাকে ৭.৬০ কোটি রুপিতে দলে নেয় এবং তাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও দেয়। তিনি ওই দুটি মৌসুমে ২৫টি উইকেট নিয়েছিলেন, কিন্তু পাঞ্জাবের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। দুই বছরই তারা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারের বাইরে থেকে মৌসুম শেষ করে।
২০২০ সালের মৌসুমের আগে দিল্লি ক্যাপিটালসে যান অশ্বিন। যেখানে তিনি দুই বছর খেলেন। ২০২২ সালের মেগা নিলামে রাজস্থান রয়্যালস তাকে ৫ কোটি রুপিতে দলে নেয়, রাজস্থানে যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে একটি শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ গড়ে তোলেন। প্রথম দুই মৌসুমে তিনি ১২ এবং ১৪টি উইকেট নেন, এরপর ২০২৪ সালে তার পারফরম্যান্সে কিছুটা ভাটা পড়ে [৯ উইকেট এবং ইকোনমি রেট ৮.৪৯]। এরপর রাজস্থান রয়্যালস তাকে ছেড়ে দেয় এবং সিএসকে মোটা অঙ্কের টাকায় তাকে পুনরায় দলে নেয়।
টুর্নামেন্টের ১৮টি মৌসুমের মধ্যে ১৬টিতে খেলে তিনি আইপিএলে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শেষ করলেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন পাঁচশোর বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়া অশ্বিন।
Comments