ফের ফিফা সভাপতি হয়ে রেকর্ড আয়ের প্রতিশ্রুতি ইনফান্তিনোর

ছবি: সংগৃহীত

জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ফিফা সভাপতি হিসেবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তী চার বছরের চক্রে ১১ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রাজস্ব আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে আরও বেশি ফুটবল খেলার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রুয়ান্ডার কিগালিতে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৭৩তম কংগ্রেসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ইনফান্তিনো। যদিও তিনি দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যর্থ পরিকল্পনার জন্য চাপ প্রয়োগ করাসহ বিভিন্ন কারণে সদস্য অ্যাসোসিয়েশনগুলোর কাছে সর্বজনীনভাবে জনপ্রিয় নন।

দুর্নীতির দায়ে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সেপ ব্লাটারের পদত্যাগের পর ইনফান্তিনো ২০১৬ সালে ফিফার একটি বিশেষ কংগ্রেসে প্রথমবার ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হন। তিন বছর পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি তার পদ ধরে রাখেন। এবারও একই কায়দায় ফিফার শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন তিনি। তবে এটি তার দ্বিতীয় মেয়াদ হিসেবে গণ্য হবে। তাই তিনি চার বছর পর তৃতীয় ও চূড়ান্ত মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্যও বিবেচিত হবেন।

আবার দায়িত্ব পেয়ে ৫২ বছর বয়সী ইনফান্তিনো নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এভাবে, 'এটি একটি অবিশ্বাস্য সম্মান, বিশেষাধিকার ও মহান দায়িত্ব। আমি বিশ্বজুড়ে ফিফা ও ফুটবলকে সেবা দেওয়া চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।'

ইনফান্তিনো নিশ্চিত করেছেন যে ২০১৯-২২ সালের সবশেষ চক্রে ফিফা আয়ের রেকর্ড গড়েছে। ছেলে ও মেয়েদের বিশ্বকাপের আকার বাড়ানোর পাশাপাশি ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপের প্রচলনের মাধ্যমে তিনি সংস্থাটির আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে ফিফার রাজস্ব আয় বেড়ে রেকর্ড ৭.৫ বিলিয়ন ডলার (২০২২ সাল পর্যন্ত) হয়েছে। আমি যখন এখানে আসি, তখন ফিফার রিজার্ভ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ছিল, আজ সেটা প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।'

সুইস নাগরিক ইনফান্তিনো যোগ করেছেন, 'আমরা পরবর্তী চক্রের জন্য ১১ বিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড রাজস্ব আয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ এই আয়ের অঙ্কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তাই এটা আরও কয়েক বিলিয়ন বৃদ্ধি পেতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago