'রাশিয়া নিষিদ্ধ, ইসরায়েল কেন নয়’, ফিফার দ্বিচারিতা নিয়ে সমালোচনা
গাজায় প্রায় ৪৫ দিন ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এ বিষয়টি নিয়ে একেবারেই নীরব থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই বিষয়টি জানিয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ ফিফার দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর খুব অল্প সময়ের মাঝে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর বাছাই পর্ব থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করে। ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও একই পথ ধরে রুশ ফুটবল ক্লাবগুলোকে তাদের সকল প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করে।
তবে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হলেও ফিফা ও উয়েফা এখনো দেশটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
স্কেমা বিজনেস স্কুলের ক্রীড়া ও ভূরাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মন শ্যাডউইক আল জাজিরাকে বলেন, '(ফিলিস্তিনে) যা ঘটছে, তার প্রভাবে ফুটবল দল, তাদের খেলোয়াড় ও খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা দুর্দশায় পড়েছেন। কিন্তু ফিফা এখনো কিছুই বলছে না।'
'যদি ফিলিস্তিন আরও বড় একটি দেশ হোত, ফিফায় তাদের আরও প্রভাব থাকতো, তাহলে তারা (ফিফা) যা ঘটছে, তা নিয়ে কোনো এক ধরনের বিবৃতি দিতে বাধ্য হোত', যোগ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনের খেলা হওয়ার কথা রয়েছে। এই খেলাটি ফিলিস্তিনের নিজেদের মাঠে খেলার কথা ছিল। কিন্তু গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন হামলার কারণে আজকের খেলাটি কাতারে অনুষ্ঠিত হবে।
Comments