সালাম মুর্শেদীসহ বাফুফের পাঁচ কর্মকর্তাকে শাস্তি দিল ফিফা

ছবি: স্টার

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান-সাবেক মিলিয়ে পাঁচ কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছে ফিফা। তাদের মধ্যে আছেন বাফুফের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিফা। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্বাধীন এথিক্স কমিটির অ্যাজুডিকেটরি চেম্বার শাস্তির অনুমোদন করেছে। মুর্শেদী ছাড়া বাকিরা হলেন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, সাবেক প্রধান ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন, সাবেক অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমান এবং সাবেক প্রকিউরমেন্ট ও স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরিফ।

সোহাগ, আবু ও মিজানুরের বিরুদ্ধে ফিফার এথিক্স কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে ফিফা। সেগুলো হলো অনুচ্ছেদ ১৪ (সাধারণ দায়িত্ব), অনুচ্ছেদ ১৬ (আনুগত্যের দায়িত্ব) ও অনুচ্ছেদ ২৫ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার)। আর মুর্শেদী ও ইমরুল ভেঙেছেন অনুচ্ছেদ ১৪।

আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে সোহাগকে গত বছর এপ্রিলে দুই বছরের জন্য ফুটবলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছিল। এবার আরও কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নতুন করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ফুটবলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে তাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা)।

ওই কাণ্ডের পর সোহাগকে আজীবনের জন্য ফুটবলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছিল বাফুফে। তখন দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চাকরি থেকে আবু ও মিজানুর দিয়েছিলেন ইস্তফা। দুজনকেই ফিফার এথিকস কমিটি ফুটবলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে।

ইমরুলকে ফিফা কর্তৃক পরিচালিত ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রেনিংয়ে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের জন্য সতর্কবার্তা পেয়েছেন তিনি। তবে চলতি বছরের শুরুতে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

গত বছর ফিফার তহবিল খরচে বাফুফের কর্মকর্তাদের জালিয়াতি ধরা পড়েছিল তদন্তে। সেসময় ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার তহবিল খরচের হিসাব দিতে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছিল। বাফুফের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে তদন্তে ও শুনানিতে গলদ ধরা পড়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago