‘অনেকদিন ধরে আমরা যা বলছিলাম সেই সত্যই বেরিয়ে এসেছে’

Sheikh Mohammad Aslam
শেখ মোহাম্মদ আসলাম। ফাইল ছবি

 

ফিফার দেওয়া ফান্ডের অপব্যবহার ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ফিফার নিষিদ্ধ করার ঘটনা সত্যের উন্মোচন বলছেন সাবেক ফুটবলাররা। শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলছেন, তারা অনেকদিন ধরেই এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। আরেক সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার সোহাগকে দেশের বাইরে যেতে না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

শুক্রবার পহেলা বৈশাখের উৎসবের মাঝে  বাংলাদেশের ফুটবল পায় চরম লজ্জার খবর। আর্থিক অনিয়মে সব ধরনের ফুটবলে নিষিদ্ধ করা হয় বাফুফে সাধারণ সম্পাদকে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে তোলপাড়।

২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে কাজ করেছেন সাবেক ফুটবলার আসলাম। পরে তিনি পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, এসব অনিয়ম নিয়ে অনেকদিন ধরেই সোচ্চার ছিলেন তারা,  'আর্থিক অনিয়মে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়া এই সত্যই তুলে ধরে যা আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছিলাম।'

'আমরা অনিয়ম নিয়ে বারবারই কথা বলেছি। এত বলেছি যে মানুষই এসব কথায় বিরক্ত হয়ে গেছে একটা সময়। কিন্তু আমি কাছ থেকে দেখেছি কীভাবে তারা টাকা চুরি করে।'

সাবেক এই তারকা জানান, অনিয়মের ব্যাপারে অবগত ছিলেন এমনকি সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও,  'একদিন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আমাকে ফোন করে বললেন সোহাগকে ভাউচার দিয়ে একাউন্টটা ঠিক করতে সাহায্য করতে। আমি সভাপতিকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি আমি ছাড়া আর কাউকে পাননি?"।'
বার্ষিক সাধারণ সভাতেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হতো বলে জানান আসলাম,  'বাফুফের প্রতিটি সাধারণ সভায় তারা কাউন্সিলরদের এই নিয়ে দুর্বল ব্যাখ্যা দিয়ে আসছে।'

 সংসদীয় কমিটির অধিকতর তদন্তের দাবি করেছেন আরেক সাবেক তারকা গাফফার। তার মতে বাফুদের দুর্নীতির আরও অনেক সত্য বেরিয়ে আসা বাকি,  'গতকাল ছিল বাংলা নববর্ষ। কিন্তু এই দিনটি বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের জন্য আমাদের সকলের লজ্জায় পরিণত হয়েছে।'

'আমরা বাফুফে নির্বাচনের সময় এসব বলেছিলাম, এখন সত্যিটা বেরিয়ে এসেছে। আমার মনে হয় আরও সত্য আছে যা বেরিয়ে আসবে।'

এই কেলেঙ্কারির পর নিষিদ্ধ হওয়া সোহাগ যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সেই ব্যাপারেও সরকারকে উদ্যোগ নিতে আহবান জানিয়েছেন তিনি,  'আমরা  বাফুফের অনিয়ম নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আরেকটি তদন্ত চাই। সোহাগ যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।'

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Smaller Asian nations, including Bangladesh, have been hit with some of the most punitive duties under the Trump administration’s tariff policy. The official justification for these tariffs was to correct what the administration called unfair trade deficits, where countries export more to the United States than they import.

9h ago