মেসিকে দেখার টিকিটের উচ্চ মূল্যকে 'ডাকাতি'র সঙ্গে তুলনা

ছবি: এএফপি

চীনের মাটিতে চলতি মাসে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বরাবরের মতো আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবেন বিশ্বকাপজয়ীদের দলনেতা লিওনেল মেসি। কিন্তু খেলাটি মাঠে বসে উপভোগ করতে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হবে। টিকিটের এমন উচ্চ মূল্য নিয়ে আয়োজকদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেক ভক্ত-সমর্থক।

আগামী ১৫ জুন বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে পরস্পরকে মোকাবিলা করবে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া। গত বছরের ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই দলের। ওই ম্যাচে মেসি ও হুলিয়ান আলভারেজের লক্ষ্যভেদে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জিতেছিল। সকারুরা ব্যবধান কমিয়েছিল এঞ্জো ফার্নান্দেজের আত্মঘাতী গোলে।

ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৮ হাজার। বিভিন্ন ক্যাটাগরির টিকিটের জন্য দর্শকদের সর্বনিম্ন ৮২ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৬৮০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হবে। চীনা মুদ্রায় যা সর্বনিম্ন ৫৮০ ইউয়ান থেকে সর্বোচ্চ ৪৮০০ ইউয়ান পর্যন্ত। আগামী ৫ ও ৮ জুন দুই ধাপে টিকিট বিক্রির কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে টিকিটের বাড়তি দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট ফুটবল অনুরাগীরা ইতোমধ্যে অনলাইনে সরব হয়েছেন।

টিকটকের ঘরানার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে আয়োজকদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে গিয়ে এক চীনা ভক্ত লিখেছেন, 'আমি আপনাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ করছি।' আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, '৪৮০০ ইউয়ানের বিনিময়ে কি খেলার সময় মেসি আমাদেরকে তার পিঠে চড়াবে?'

২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো চীন সফরে যাচ্ছেন তারকা ফরোয়ার্ড মেসি। অনুমিতভাবেই তার ও আর্জেন্টিনার খেলা গ্যালারিতে বসে দেখা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে দেশটিতে। আয়োজকদের কাছ থেকে টিকিট না মিললে কালোবাজার থেকে বাড়তি মূল্যে কিনতেও তৈরি অনেকে। সেটা যাতে না ঘটে, সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্টেডিয়াম ঢুকতে হলে দর্শকদের টিকিটের পাশাপাশি পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট দেখাতে হবে।

চীনে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খেলাধুলা ফের চালু হতে শুরু করেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলায় দীর্ঘদিন এসব বন্ধ ছিল। তবে গত বছরের শেষদিকে হঠাৎ করেই কঠোরভাবে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের নীতি থেকে সরে আসে তারা। চলতি বছরের জানুরিতে সারা বিশ্বের জন্য দেশটির সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

15h ago