'সবচেয়ে বড় স্বপ্ন' পূরণের প্রত্যাশায় হালান্ড
ম্যানচেস্টার সিটিতে প্রথম মৌসুমেই সাড়া ফেলেছেন আর্লিং হালান্ড। তরুণ নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার পেয়েছেন গোলমেশিন তকমা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির 'ট্রেবল' জয়ের পথে ছোটার পেছনে রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ইতোমধ্যে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সিটি বাকি দুটি শিরোপাও জিতবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি। আর তা ঘটলে পূরণ হবে হালান্ডের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।
গত জুনে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে সিটিতে নাম লেখান হালান্ড। তাকে পেতে ৬০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হয় ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দলটিকে। নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমানোর শুরু থেকে তুখোড় ছন্দে আছেন তিনি। প্রথম মৌসুমেই ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গড়েছেন বেশ কয়েকটি রেকর্ড। এর মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের (৩৬টি) কীর্তি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে ৫২ গোল রয়েছে তার নামের পাশে।
হালান্ডকে দলে টানার পেছনে সিটির মূল লক্ষ্য হলো অধরা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা। আর সেটা করে দেখানোর খুব কাছে রয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। আগামী ১১ জুন ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে তারা। এর আগে এফএ কাপের ফাইনালে সিটিজেনদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আগামীকাল শনিবার ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শহর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলা করবে তারা।
সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ 'ট্রেবল' জেতা এখন হালান্ডের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে শুক্রবার তিনি বলেছেন, '(তিনটি শিরোপা জিতে) ইতিহাস গড়তে পারাটা হবে অবিশ্বাস্য কিছু। আর সেকারণেই তারা আমাকে দলে এনেছে। এটা গোপন করার কিছু নেই। এটা আমার জন্য হবে সবকিছু পাওয়া। আর সেজন্য আমি সম্ভাব্য সেরা চেষ্টাই করব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন এবং আশা করি, স্বপ্ন সত্যি হবে।'
পাশাপাশি ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষকে নিয়ে সমীহ ঝরেছে হালান্ডের কণ্ঠে, 'তবে অবশ্যই এটা সহজ হবে না। দুটি ভালো দলের বিপক্ষে আমাদের দুটি ফাইনাল খেলতে হবে। এটা (স্বপ্ন) ধ্বংসের জন্য তাদের পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব, তা তারা চেষ্টা করবে।'
একমাত্র ইংলিশ ক্লাব হিসেবে 'ট্রেবল' জয়ের কীর্তি আছে কেবল ইউনাইটেডের। সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে ১৯৯৮-১৯৯৯ মৌসুমে তারা গড়েছিল ইতিহাস। মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে আর্সেনালকে টপকে তারা হয়েছিল প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন। এফএ কাপের ফাইনালে তাদের কাছে পরাস্ত হয়েছিল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নাটকীয়ভাবে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল রেড ডেভিলরা।
Comments