সুয়ারেজকে টপকে রেকর্ড নিজের একার করে নিলেন মেসি

ছবি: এএফপি

বন্ধু ও সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে এতদিন যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন লিওনেল মেসি। পেরুর বিপক্ষে জোড়া গোল করে রেকর্ড নিজের একার করে নিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে তিনিই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা।

বুধবার সকালে বাছাইয়ের ম্যাচে লিমায় প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে দুটি গোলই করেন অনিশ্চয়তা এড়িয়ে শুরুর একাদশে ফেরা মেসি। হ্যাটট্রিকও পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। আরও এক দফা বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল করেন রেফারি।

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মেসির গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ৩১টি। ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড খেলেছেন ৬৩ ম্যাচ। পেছনে পড়ে গেছেন ৬২ ম্যাচে ২৯ গোল করা উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেজ।

জাতীয় দলের জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল বর্তমানে ১০৬টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। দুইয়ে থাকা ইরানের আলী দায়ইর (১০৮ গোল) সঙ্গে ব্যবধান আরও কমিয়েছেন লা পুল্গা। শীর্ষে থাকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অবশ্য বেশ উঁচুতে অবস্থান করছেন। পর্তুগালের ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের নামের পাশে রয়েছে ১২৭ গোল।

পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের ৩২তম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে এঞ্জো ফার্নান্দেজ চলে যান প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের কাছাকাছি। এরপর খুঁজে নেন নিকো গঞ্জালেজকে। তিনি বাইলাইন থেকে করেন কাটব্যাক। ছুটে গিয়ে দারুণ দক্ষতায় প্রথম ছোঁয়াতেই বল জালে পাঠান মেসি।

১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মহাতারকা। নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর পাস ধরে এঞ্জো ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। তার বাড়ানো বলে হুলিয়ান আলভারেজ ডামি করায় সুযোগ আসে মেসির সামনে। তিনি নিচু শটে কাঁপান জাল।

ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড মেসি আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশে শেষবার ছিলেন গত ৮ সেপ্টেম্বর। সেদিন তার গোলেই ইকুয়েডরকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে বাছাইয়ে শুভ সূচনা করেছিল দলটি। এরপর চোটের কারণে বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলা হয়নি তার। সেরে উঠে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে ফেরেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

2h ago