আরও একবার মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ দেখবেন ফুটবলভক্তরা

লিওনেল মেসি যুক্তরাষ্ট্রে খেলছেন ইন্টার মায়ামির হয়ে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সৌদি আরবে আছেন আল নাসরের জার্সিতে। পৃথিবীর দুই প্রান্তে অবস্থানরত দুই মহাতারকার দ্বৈরথ আরও একবার উপভোগ করার সুযোগ মিলল ফুটবলভক্তদের। সবকিছু ঠিক থাকলে সৌদি আরবের মাটিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে মাঠে নামবেন তারা।

নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সফরে বের হবে মেসির মায়ামি। এর অংশ হিসেবে সৌদিতে দুটি ম্যাচ খেলবে তারা। একটিতে তাদের প্রতিপক্ষ রোনালদোর আল নাসর। আরেকটিতে তারা মোকাবিলা করবে নেইমারের আল হিলালকে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মায়ামি নিশ্চিত করেছে এসব।

২০২৪ সালের রিয়াদ সিজন কাপে অংশ নেবে মায়ামি, আল নাসর ও আল হিলাল। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে তিনটি ক্লাব পরস্পরকে মোকাবিলা করবে। আগামী ২৯ জানুয়ারি কিংডম অ্যারেনায় আল হিলালের মুখোমুখি হবে মায়ামি। বাংলাদেশ সময় অনুসারে রাত ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এরপর ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত মেসি-রোনালদো লড়াই। একই ভেন্যুতে একই সময়ে গড়াবে ম্যাচটি।

২০০৮ সালে প্রথমবার ফুটবল মাঠে সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই মহাতারকার। সেই থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৫ বার মুখোমুখি হয়েছেন তারা। ৩৬ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসির ১৬ জয়ের বিপরীতে ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ অধিনায়ক রোনালদোর জয় ১০ ম্যাচে। বাকি নয়টি শেষ হয়েছে সমতায়। মুখোমুখি লড়াইয়ে ২১ গোলের সঙ্গে ১২ অ্যাসিস্ট রয়েছে মেসির, রোনালদোর ২০ গোলের সঙ্গে এক অ্যাসিস্ট।

মেসি-নেইমার দ্বৈরথ দেখা যাবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। ৩১ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার চোটের কারণে আছেন মাঠের বাইরে। গত অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পাওয়া গুরুতর চোটে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় তার। এরপর তার বাম হাঁটুতে সফলভাবে অস্ত্রোপচার করা হলেও ফেরার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।

গত জানুয়ারিতে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল মেসি-রোনালদো। রিয়াদ অল-স্টার্সের বিপক্ষে সেদিন ৫-৪ গোলে জিতেছিল পিএসজি। রিয়াদের হয়ে জোড়া গোল পেয়েছিলেন রোনালদো। পিএসজির হয়ে একবার জাল খুঁজে নিয়েছিলেন মেসি।

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

7h ago