জিরোনার মাঠে বার্সেলোনা ধরাশায়ী হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

ছবি: এএফপি

কাদিজকে উড়িয়ে নিজেদের দায়িত্বটা আগেই সেরে রেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শিরোপা জেতার জন্য তারা অপেক্ষায় ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার পয়েন্ট খোয়ানোর। তাদের প্রত্যাশা পূরণ হলো। দুই দফা লিড নিয়েও জিরোনার কাছে ধরাশায়ী হলো কাতালানরা। এমন ফলাফলের সুবাদে চার ম্যাচ বাকি থাকতেই লা লিগায় রেকর্ড ৩৬তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো রিয়াল।

শনিবার রাতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ঘরের মাঠে বার্সাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে এবারের মৌসুমে চমক জাগানো ক্লাব জিরোনা। একইসঙ্গে আগামী মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করল মিকেলের শিষ্যরা। দুই দলের আগের দেখায় গত ডিসেম্বরে বার্সেলোনার আঙিনাতেও একই ব্যবধানে জিতেছিল জিরোনা।

আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিয়ানসেন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোল করার পর দ্রুত জবাব দেয় স্বাগতিকরা। ঠিক পরের মিনিটে তারা সমতা টানে আর্তেম দভবিকের লক্ষ্যভেদে। পেনাল্টি থেকে রবার্ত লেভানদভস্কি যোগ করা সময়ে জাল খুঁজে নিলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে সফরকারীরা। তবে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যদের দ্বিতীয়ার্ধে কাঁপিয়ে দেয় জিরোনা। রীতিমতো ঝড় তুলে নয় মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে ফেলে তারা।

জিরোনার পক্ষে বদলি নামা পোর্তু জোড়া গোলের পাশাপাশি করেন একটি অ্যাসিস্ট। তিনি ৬৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করার দুই মিনিট পর মিগেল গুতিয়েরেজের গোলে লিড নেয় দলটি। ৭৪তম মিনিটে পোর্তু ফের নিশানা ভেদ করলে বড় হার নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার।

৩৪ ম্যাচে ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে ২০২১-২২ মৌসুমের পর লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার করল রিয়াল। কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা পরের ম্যাচগুলোতে হারলেও তাদেরকে ছুঁতে পারবে না অন্য কোনো ক্লাব। রাতের আগের ম্যাচে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাদিজকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল। তাদের হয়ে জাল কাঁপিয়েছিলেন ব্রাহিম দিয়াজ, জুড বেলিংহ্যাম ও হোসেলু।

ইতিহাসগড়া জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে গেল জিরোনা। ৩৪ ম্যাচে তাদের অর্জন ৭৪ পয়েন্ট। আগামী মৌসুমে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে তারা। অন্যদিকে, বার্সা নেমে গেল তিন নম্বরে। ৩৪ ম্যাচে তাদের নামের পাশে রয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago