‘রিয়াল মানেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এটাই তারা চায়’

সব ধরনের আবেগকে খোলসবন্দি করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুড বেলিংহ্যাম।
ছবি: এএফপি

ফাইনালের আগে মনের মধ্যে যেমন থাকে প্রাপ্তির উত্তেজনা-রোমাঞ্চ, তেমনি ব্যর্থতার ভীতি-শঙ্কা কাজ করাও স্বাভাবিক। তবে সব ধরনের আবেগকে খোলসবন্দি করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুড বেলিংহ্যাম। এই প্রতিযোগিতার রাজা রিয়াল মাদ্রিদের সমৃদ্ধ ইতিহাসের অংশীদার হতে মুখিয়ে আছেন তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার।

জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে গত জুনে রিয়ালে নাম লেখানো বেলিংহ্যাম স্প্যানিশ পরাশক্তিদের হয়ে প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত করেছেন। নিজেকে দলটির অন্যতম ভরসায় পরিণত করতে একদমই সময় নেননি তিনি। ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে লা লিগার এবারের মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪১ ম্যাচে ২৩ গোলের পাশাপাশি ১২ অ্যাসিস্ট রয়েছে তার।

বেলিংহ্যামকে দলে পেতে আগ্রহী ছিল ইংল্যান্ডের কয়েকটি ক্লাবও। শেষ পর্যন্ত তিনি যোগ দেন রিয়ালে। সেসময় বলেছিলেন, অর্থ ও সম্পদ নয়, বরং ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কারণে এই ক্লাবকে বেছে নেন তিনি। রিয়ালের সঙ্গে থাকা ইউরোপের সফতলম ক্লাবের তকমা তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথটা সহজ করেছিল।

বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত একটায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। এর আগে গণমাধ্যমের কাছে বেলিংহ্যাম জানিয়েছেন রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার প্রত্যাশা, 'এই ধরনের ম্যাচে খেলাই আমার এখানে আসার কারণ। আমি সব সময় এই দলের হয়ে খেলার ও গোল করার স্বপ্ন দেখতাম। এই দল মানেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এটাই তারা সব সময় চায়। আমি এই দলের সঙ্গে একটু ইতিহাস গড়তে চাই।'

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াল আছে ১৫তম শিরোপার খোঁজে। শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তাদের প্রতিপক্ষ ডর্টমুন্ডই বেলিংহ্যামের সাবেক ক্লাব। প্রায় আট কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আসার আগে ডর্টমুন্ডে তিনি কাটান তিনটি মৌসুম।

তবে প্রাক্তন ঠিকানার বিপক্ষে লড়াইয়ের আবেগকে পাত্তা না দিয়ে মাঠে সেরাটা দিতে চাইছেন ২০ বছর বয়সী তারকা, 'এই ম্যাচটি খেলা আমার জন্য খুবই বিশেষত্বপূর্ণ। তবে আমাদের আবেগকে একদিকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যে, আমরা নিজেদের সেরা পর্যায়ে আছি। আমরা যখন এই স্তরে খেলি, তখন অন্য দলগুলোর জন্য কাজটা কঠিন। আমার শতভাগ আত্মবিশ্বাস রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago