অবসর কবে নেবেন জানেন না রোনালদো

ছবি: এএফপি

বয়স ৪০ ছুঁইছুঁই হলেও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পারফরম্যান্সে পড়েনি ভাটা। অবসর নিয়েও তাই কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই পর্তুগিজ মহাতারকার। তবে সব ফুটবলারকেই একসময় বিদায় জানাতে হয়। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে সেই মুহূর্ত আসার আভাস দিয়ে রাখলেন তিনি।

গত শুক্রবার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পর্তুগাল। তাদের হয়ে সেদিন জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো। ৭২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাল খুঁজে নেওয়ার পর ৮৭তম মিনিটে নজরকাড়া বাইসাইকেল কিকে নিশানা ভেদ করেন।

দলের বড় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রোনালদো একটি রেকর্ডেরও মালিক হয়ে যান। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি জয়ের কীর্তি এখন এককভাবে তার। তিনি পর্তুগালের হয়ে জিতেছেন ১৩২টি ম্যাচ। পাঁচবারের ব্যালন দি'অরজয়ী ফরোয়ার্ড টপকে গেছেন সার্জিও রামোসকে। ক্লাব পর্যায়ে দুজন একসঙ্গে লম্বা সময় খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ২০২১ সালে অবসরে যাওয়া স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোস জিতেছেন ১৩১টি ম্যাচ।

পোলিশদের উড়িয়ে দেওয়ার পর অবসর প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে রোনালদো বলেছেন, তেমন কিছু ভাবছেন না তিনি, 'আমি স্রেফ উপভোগ করে যেতে চাই। অবসরের পরিকল্পনা জানতে চান? যদি এটা হতেই হয়, আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে... আমি আসলে জানি না।'

বর্তমানে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে খেলা তারকা যোগ করেছেন, যখন আর উপভোগ করবেন না, তখন খেলা ছেড়ে দেবেন, 'শিগগিরই আমার বয়স ৪০ হবে… সত্যিই উপভোগ করতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি অনুপ্রাণিত বোধ করব, ততক্ষণ খেলা চালিয়ে যাব। যেদিন আর নিজের কাছ থেকে প্রেরণা পাব না, অবসর নিয়ে ফেলব।'

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর কোনো পরিকল্পনাও নেই রোনালদোর। তবে সিদ্ধান্তটা ছেড়ে দিলেন ভবিষ্যতের হাতে, 'নিজেকে কোনো ক্লাবে কোচিং করাতে দেখছি না আমি। এটা আমার পরিকল্পনার মধ্যে নেই। আমার ভবিষ্যৎ ফুটবলের বাইরের অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে। তবে কী ঘটবে তা সময়ই বলে দেবে।'

পোল্যান্ডকে হারিয়ে ইতোমধ্যে নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে পর্তুগাল। তাই আগামী সোমবার রাতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে রোনালদো পাবেন বিশ্রাম। ৫টি গোল নিয়ে 'এ' লিগের গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনি। বয়স ৩৯ পূর্ণ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল মোট ৭টি।

Comments

The Daily Star  | English

The silent emergency: Politicisation of our healthcare sector

The erosion of trust in doctors is creating crisis for the healthcare sector.

8h ago