আমি কখনো ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্ন দেখিনি: ভিনিসিয়ুস

'পরশু আমি ব্যালন ডি'অর জিততে যাচ্ছি।' এল ক্লাসিকোর ম্যাচে বার্সেলোনা তরুণ গাভিকে ঠিক এমনটাই বলেছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পাওয়া হয়নি তার। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কখনোই ব্যালন ডি'অর জিতে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেননি রিয়াল মাদ্রিদের এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

ক্লাবের হয়ে দারুণ খেললেও গত মৌসুমে জাতীয় দলে একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন ভিনি। অন্যদিকে ক্লাব ও জাতীয় দল উভয় ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল রদ্রির। সেই সুবাদে ব্যালন ডি'অর ওঠে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডারের হাতেই। এতে বেজায় ক্ষেপে যায় রিয়াল। আর সেই ঘটনার পর থেকেই স্পেনে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গেলে ব্যালন ডি'অর না পাওয়া নিয়ে ব্যাপক বিদ্রূপের মুখে পড়েছেন তিনি।

তবে ব্রাজিলিয়ান তারকা নিশ্চিত করেছেন যে এটি উচ্চপর্যায় থেকে নেওয়া একটি সিদ্ধান্তের ফলাফল। রদ্রি পুরস্কার জিতবেন জানার পর থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের কোনো মনোনীত খেলোয়াড়কে ফ্রান্স ফুটবলের আয়োজিত গালা অনুষ্ঠানে যেতে নিষেধ করা হয় ক্লাব থেকে।

পুরস্কার বিতরণের পরপরই ভিনিসিয়ুস সামাজিকমাধ্যমে লিখেছিলেন যে প্রয়োজনে তিনি আরও ১০ গুণ ভালো করবেন, তবে তিনি ফলাফলে প্রতারিত বোধ করেননি। পরবর্তীতে 'দ্য বেস্ট' পুরস্কার জয়ের পর, তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে তিনি নিজেকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মনে করেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভিনি বলেন, 'না, মানুষ তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ভোট দেয়। আমার নিজস্ব মতামত রয়েছে। আমি কখনো ব্যালন ডি'অর জয়ের স্বপ্ন দেখিনি, তবে যখন এটি কাছে আসে, তখন বিশ্বাস জন্মায়। তবে আমার সামনে আরও সুযোগ আসবে। আমি ইতোমধ্যেই দুটি ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছি, এবং আমি আরও অনেকগুলো জিততে চাই।'

বর্তমানে তিনি 'ভিনিসিয়ুস, বিচ বল' বলে ব্যঙ্গাত্মক স্লোগানের শিকার হচ্ছেন নিয়মিতই, সোনালি বলের (ব্যালন ডি'অর) পরিবর্তে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে কেউ যেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে না যায়। এই সিদ্ধান্তই রিয়াল মাদ্রিদের সমালোচনার মুখে ফেলে এবং ভিনিসিয়ুসও কটাক্ষের শিকার হন।

'আমি ক্লাবের নির্দেশনা মেনে চলি, এবং ক্লাব আমাকে মাদ্রিদে থাকতে বলেছিল,' বলেন ভিনিসিয়ুস।

Comments

The Daily Star  | English

EU lists Bangladesh among 7 'safe' countries, tightening asylum rules

The move, criticised by rights groups, is set to allow EU governments to process asylum applications filed from citizens of those countries more quickly

10h ago