নজরকাড়া তিনটি গোলের ম্যাচে রিয়ালের জয়ের নায়ক ব্রাহিম

বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে সুযোগও তৈরি করল বেশি। কঠিন লড়াইয়ে এমন পারফরম্যান্সের কাঙ্ক্ষিত প্রতিদান মিলল শিরোপাধারীদের। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে দিল তারা।
মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে একটু এগিয়ে থাকল টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধের শুরুতে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগোর লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় রিয়াল। বিরতির আগে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা সমতায় ফেরে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজের নৈপুণ্যে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে মরোক্কান উইঙ্গার ব্রাহিম দিয়াজ ফের লিড পাইয়ে দেন স্বাগতিকদের। সেটাই শেষমেশ যথেষ্ট হয় তাদের স্বস্তির জয়ের জন্য।
চলমান মৌসুমে তৃতীয়বারের দেখায় অ্যাতলেতিকোকে হারাতে পারল রিয়াল। ঐতিহ্যবাহী দুই স্প্যানিশ ক্লাব আগের দুবার মুখোমুখি হয়েছিল লা লিগায়। দুটি ম্যাচই ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।

খেলা শুরুর চতুর্থ মিনিটেই দর্শনীয় গোলে রিয়ালকে উল্লাসে মাতান রদ্রিগো। নিজেদের অর্ধ থেকে ফেদেরিকো ভালভার্দের লম্বা করে বাড়ানো পাস গতির সুবাদে নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। এরপর ডানদিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ক্লেমোঁ লংলেকে এড়িয়ে বাঁ পায়ে নেন নিখুঁত শট। সেটা থামানোর কোনো উপায় ছিল না সফরকারী গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকের।
দুই মিনিট পর হাভি গালানের চ্যালেঞ্জে পড়ে গিয়ে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করেন রদ্রিগো। তবে তাতে সাড়া দেননি রেফারি। দ্বাদশ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা সফল হয়নি। ব্রাহিমের পাসে ডি-বক্সে তার শট ব্লক করেন হিমেনেজ।
রিয়ালের একচ্ছত্র দাপট সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে অ্যাতলেতিকো। বেশ কয়েকবার রক্ষণে ভীতি ছড়ানোর পর তারা উদযাপনের মুহূর্ত পায় ৩২তম মিনিটে। নজরকাড়া গোলে স্কোরলাইনে সমতা আনেন আলভারেজ। গালানের কাছ থেকে বাম দিকে বল পেয়ে যান তিনি। এরপর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। দুরূহ কোণ থেকে তার ডান পায়ের আচমকা শট দূরের পোস্ট দিয়ে জড়ায় জালে। ঝাঁপিয়ে পড়া রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার পক্ষে বল ফেরানো সম্ভব ছিল না।

কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় দারুণ একটি পাল্টা আক্রমণের কল্যাণে। ফারলঁদ মঁদির পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাহিম। পায়ের কারুকাজে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে জায়গা বানিয়ে ফেলেন তিনি। এরপর আরও কয়েকজনের মাঝ দিয়ে ডান পায়ে শট নেন। এতে আরেক দফা পরাস্ত হন ওবলাক।
বাকি সময়ে দুই দলের সামনেই সুযোগ আসে গোলের। সেগুলো থেকে অবশ্য সাফল্য আসেনি। ৬০তম মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজমানের কোণাকুণি শট রুখে দেন কর্তোয়া। পাঁচ মিনিট পর মঁদির ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট সহজেই আটকে দেন ওবলাক। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বদলি লুকা মদ্রিচের সোজাসুজি শটও তাকে ফাঁকি দিতে পারেনি।
আগামী বুধবার রাতে অ্যাতলেতিকোর মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় গড়াবে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগ।
Comments