খেলল ডর্টমুন্ড, জিতলও ডর্টমুন্ড, সেমিতে বার্সেলোনা

কেউ বলেনি ম্যাচটি সহজ হবে, কিন্তু কেউ কল্পনাও করেনি যে ৪-০ গোলের বিশাল সুবিধা নিয়েও ম্যাচটি এতটা দুঃসহ ও দুর্বোধ্য হবে। বুক চিতিয়ে খেলেও অলৌকিক কিছুর খুব কাছাকাছি গিয়েও পারেনি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। অতীতের ভয়াবহ স্মৃতিগুলো প্রতি মুহূর্তেই আবার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল কাতালান শিবিরে। তবে বাজে পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে যায়নি বার্সেলোনার।

মঙ্গলবার রাতে ইদুনা পার্কে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ডর্টমুন্ডের কাছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে বার্সেলোনা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় সেমি-ফাইনালের টিকিট মিলেছে বার্সেলোনারই। ছয় বছর পর এই আসরের শেষ চারে উঠল দলটি। দারুণ এক হ্যাটট্রিক করেও দলকে সেমিতে নিতে ব্যর্থ সেরহু গুইরাসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই সংগ্রাম করেছে বার্সা। বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েও জড়িয়ে পড়ে কোভাচের সাজানো কঠিন কৌশলের জালে। নাটকীয় কিছুর আশায় একের পর এক আক্রমণ শুরু করে জার্মানরা। দশ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করে নেয় তারা—গুইরাসি 'পানেনকা' স্টাইলে গোল করে ভীতি ছড়ান বার্সা শিবিরে।

বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও, ফিনিশিংয়ের পথ যেন খুঁজে পাচ্ছিল না বার্সেলোনা। আধঘণ্টা পেরিয়ে প্রথম শট নেয় ফার্মিন লোপেজ। এরমধ্যেই ডর্টমুন্ডের এক অফসাইড গোল বার্সার স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে তোলে। ব্লুগ্রানারা যেন ভুলেই গিয়েছিল কীভাবে আক্রমণ ফিনিশিং দিতে হয়।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে বার্সা কিছুটা স্থির হয়, তবে পুরোপুরি নয়। মাঝে মাঝে রক্ষণে ভয়ানকভাবে খালি পড়ে যাচ্ছিল দলটি। বিরতি যেন প্রশান্তি এনে দেয়, কিন্তু তা ছিল মায়া মাত্র। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মাথায় আবারও আঘাত হানে ডর্টমুন্ড। কর্নার থেকে গোল, আবারও গুইরাসির পা থেকে। বার্সার রক্ষণভাগ পুরোপুরি অগোছালো।

বার্সেলোনার সবকিছু যখন ভেঙে পড়ছিল, ঠিক তখনই ফার্মিনের একটি ক্রস থেকে বেনসেবাইনি আত্মঘাতী গোল করে বসেন। ঠিক সবশেষ লা লিগায় লেগানেস ম্যাচের মতো। অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে আসে এই গোল, হয়তো সুন্দর নয়, কিন্তু দরকারি ঠিকই। বার্সা তখন ১-২ গোলে পিছিয়ে, কিন্তু মোট অ্যাগ্রিগেটে ৩ গোলে এগিয়ে।

এরপর আরেকটি ভুল করেন আরাহো—যার ফল, ডর্টমুন্ডের তৃতীয় গোল। ৩-১, বার্সা তখন আত্মরক্ষায় নেমে যায়, যা তাদের স্বভাববিরুদ্ধ। হ্যান্সি ফ্লিকের কোনো কৌশলই কাজ করছিল না তখন। তবে শেষ পর্যন্ত হার মানলেও প্রথম লেগের লিডে বাজে কিছুই হয়নি। টিকে গেছে বার্সা।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt secretly backing wrongdoers?

BNP acting chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of Lal Chand, alias Sohag, due to its silent support for such incidents of mob violence.

2h ago