টের স্টেগেনে আগ্রহী চেলসি-ম্যানইউ

বার্সেলোনা ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই নেই, এমনটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জার্মান গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। কিন্তু তাকে বিদায় না করতে পারলে বেতনের বড় চাপে পড়ে যাবে কাতালান ক্লাবটি। তবে ইংলিশ দুই জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসতে পারে। দুটি ক্লাবই আগ্রহী এই জার্মান গোলরক্ষককে দলে টানতে।

সম্প্রতি ২৫ মিলিয়ন ইউরোতে এস্পানিওল থেকে গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়াকে দলে ভিড়িয়েছে বার্সেলোনা। এই চমকপ্রদ সাইনিং শুধু গোলপোস্টের পেছনের ভবিষ্যৎ ভাবনারই ইঙ্গিত দেয় না, বরং এটিও স্পষ্ট করে দেয়—জার্মান গোলরক্ষকের ক্যাম্প ন্যুতে অধ্যায় হয়তো শেষের পথে। তাকে নিয়ে মোট চার জন গোলরক্ষক রয়েছে ক্লাবটির স্কোয়াডে।

এদিকে, বার্সা প্রকাশ্যে গোলরক্ষক পজিশনে প্রতিযোগিতার কথা বললেও, অভ্যন্তরীণভাবে তারা এমন একটি সমাধানের খোঁজে রয়েছে, যা আর্থিক দিক থেকে চাপ কমাবে। এই প্রেক্ষাপটে প্রিমিয়ার লিগই এখন টের স্টেগেনের জন্য একমাত্র বাস্তবসম্মত গন্তব্য, যেখানে খেলার মান এবং আর্থিক সামর্থ্য—দুটোই মিলবে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ফিচাহেজের সংবাদ অনুযায়ী, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি—এই দুই ক্লাবই এখন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আন্দ্রে ওনানার পারফরম্যান্স ঘিরে তৈরি হওয়া প্রশ্নচিহ্ন বোর্ডকে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য করেছে। বড় মঞ্চে অভিজ্ঞ ও বল কন্ট্রোলে পারদর্শী টের স্টেগেন নতুন প্রকল্পে ইউনাইটেডের জন্য আদর্শ গোলরক্ষক হতে পারেন।

অন্যদিকে চেলসির কোচ এনজো মারোসকা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার পথে দলে নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা আনতে চান। টের স্টেগেনের আগমন শুধু গোলরক্ষক পজিশনেই শক্তি আনবে না, ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এটাও হবে এক স্পষ্ট বার্তা—চেলসি আবার বড় স্বপ্ন দেখছে।

বার্সা জানে, জার্মান গোলরক্ষককে বিক্রি করা সহজ হবে না। তবে ইংল্যান্ড থেকে একটি বড়সড় প্রস্তাব এলে আলোচনা এগোতে পারে। হুয়ান গার্সিয়া এরমধ্যেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত এবং ক্লাবের বেতনের চাপও কমাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে, টের স্টেগেনের বার্সা-যাত্রার শেষটা যেন এখন কেবল প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের শেষ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

Comments

The Daily Star  | English

Early US intel assessment suggests strikes on Iran did not destroy nuclear sites: CNN

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago