৪৭ বছর পর এশিয়ান কাপে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

এশিয়ান কাপে এখন পর্যন্ত একবারই অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৮০ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত আসরে খেলেছিল তারা। চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল দলটি। ৪৭ বছরের ব্যবধানে আরেকটি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্নে বিভোর তারা।
২৪ দল নিয়ে সৌদি আরবে হবে আগামী ২০২৭ সালের আসর। এই আসরের বাছাইপর্বে মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মূল পর্বে ঠাঁই করে নিতে বাংলাদেশের সমীকরণ আসলে কী? দেখে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে মূলত প্রবাসী তারকা ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তির কারণে। দেশের প্রতিভাবানদের সঙ্গে এই বছর স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলামরা। আর আগে থেকেই আছেন জামাল ভূঁইয়া, কাজেম শাহ, তারিক কাজীরা।
বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে 'সি' গ্রুপে আছে বাংলাদেশ। কোচ হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের বাকি তিন প্রতিপক্ষ ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর। স্বাগতিক সৌদিসহ ১৮টি দল ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান কাপে। বাকি আছে আর ছয়টি স্থান।
বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে আছে ছয়টি গ্রুপ। প্রতিটি গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল পাবে মূল পর্বের টিকিট। অর্থাৎ আগামী এশিয়ান কাপে খেলতে হলে বাংলাদেশকে 'সি' গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করতে হবে।
তবে কাজটা সহজ নয়। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাকি তিন প্রতিপক্ষই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ভারত আছে ১২৭ নম্বরে, হংকং ১৫৩ নম্বরে ও সিঙ্গাপুর ১৬১ নম্বরে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩ নম্বরে। কাবরেরার দলের শুরুটা অবশ্য হয়েছে ভালো। গত মার্চে বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে শিলংয়ে ভারতের সঙ্গে ড্র করেছে তারা।
এদিন ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় পেলে এশিয়ান কাপে ওঠার পথে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি আত্মবিশ্বাস মিলবে বাংলাদেশের। লাল-সবুজের দল কি পারবে বহু বছর পর ফুটবল উন্মাদনায় মাতোয়ারা হওয়া দেশবাসীকে জয় উপহার দিতে?
Comments