হারের পর ভক্তদের 'আশাবাদী' থাকার আহ্বান হামজার

ভাগ্যটা সঙ্গে ছিল না। ভালো হয়নি রেফারিংও। তার সঙ্গে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা। অন্যথায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জিততেই পারতো বাংলাদেশ। তবে ২-১ গোলের হারে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের হতাশাজনক ফলাফলের পরও ভক্তদের 'আশাবাদী' থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলের অন্যতম তারকা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ঘিরে ছিল তুমুল উত্তেজনা। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে অনুপ্রেরণাদায়ী পারফরম্যান্সের পর দলকে ঘিরে আশার পারদ ছিল চূড়ায়। ম্যাচের টিকিট কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল, আর ম্যাচ শুরু হওয়ার দুই-তিন ঘণ্টা আগেই স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার পর, সেই উত্তেজনা গড়ায় বিষাদের নদীতে। ম্যাচশেষে এক আবেগঘন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে হামজা লেখেন, 'আমরা যেটা চেয়েছিলাম, সেটা পাইনি! কিন্তু আমরা একটা দল হিসেবে এবং একটি জাতি হিসেবে গর্বিত হতে পারি! আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, কারণ এই যাত্রা তো সবে শুরু — ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগিরই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাব!'
তিনি আরও লেখেন, 'আপনাদের ভালোবাসা আর সমর্থনের জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা। অক্টোবরে দেখা হবে।'
এই ম্যাচটিকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর একটি হিসেবে ধরা হচ্ছিল, বিশেষ করে মিডফিল্ডে হামজা চৌধুরি ও শমিত সোমের প্রত্যাবর্তন ঘিরে প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। গ্যালারিতে তুমুল উচ্ছ্বাস থাকলেও মাঠে সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।
ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর, ৬৭ মিনিটে ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন একটি গোল করে কিছুটা আশার আলো দেখান এবং শেষ দিকে বেশ কিছু আক্রমণও চলে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোল আর পাওয়া যায়নি।
হারের পরও গ্রুপ 'সি' তে বাংলাদেশ রয়েছে তৃতীয় স্থানে, ভারতের ওপরে—যারা একই দিনে হংকংয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের সুবাদে সিঙ্গাপুর উঠে গেছে গ্রুপের শীর্ষে। আর ভারতের বিপক্ষে হংকংয়ের আত্মবিশ্বাসী জয়ে তারা উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।
Comments