তুমি খুব বেশি কথা বলো: হামেসকে মেসি

ঘটনার সূত্রপাত গত কোপা আমেরিকার ফাইনাল থেকে। যেখানে কলম্বিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। যে বিষয়টি এখনও মেনে নিতে পারেননি কলম্বিয়ান অধিনায়ক হামেস রদ্রিগেজ। সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, রেফারির কারণে হেরেছেন তারা। সেই সূত্র ধরে এদিন বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে উতপ্ত বাক্য বিনিময় হয় আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও হামেসের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে বুয়েনোস আইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ১৬তম রাউন্ডে কলম্বিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় মেসি ও হামেসের এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের প্রসঙ্গ।
কয়েক সপ্তাহ আগে, রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক খেলোয়াড় এবং বর্তমানে মেক্সিকোর লেওঁ ক্লাবে খেলা হামেস, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনালে পরাজয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'বাইরের কিছু বিষয়ের কারণে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। রেফারি আমাদের এক বা দুইটি স্পষ্ট পেনাল্টি দেননি এবং তার প্রভাব ম্যাচে ছিল।'
এদিন ম্যাচের এক পর্যায়ে এ নিয়ে সুযোগ বুঝে মাঠেই হামেসকে মুখোমুখি করেন মেসি। তীব্র বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেসি তার মুখ হাত দিয়ে ঢেকে চ্যালেঞ্জিং দৃষ্টিতে এই কলম্বিয়ান মিডফিল্ডারকে বলেন, 'তুমি বলেছো আমাদের সাহায্য করা হয়েছিল ফাইনালে। তুমি খুব বেশি কথা বলো।'
মেসির মন্তব্যে যেন অবাক হয়ে যান হামেস। বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, 'আমি এমন কিছু বলিনি।' ম্যাচ শেষে সাংবাদিকেরা যখন হামেসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান, তিনি আর বিতর্কে জড়াতে চাননি। শুধু বলেন, 'যা মাঠে ঘটে, তা সেখানেই থেকে যায়।'
চিলির বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আবারও আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশে ফেরেন মেসি। প্রথমার্ধে কিছু দারুণ মুহূর্ত তৈরি করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার পারফরম্যান্স কমতে থাকে। ৭৮তম মিনিটে তাকে বদলি করে নেওয়া হয়। মেসির মাঠ ছাড়ার পরপরই থিয়াগো আলমাদা গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।
পরে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি জানান, মেসি নিজেই বদলি হওয়ার কথা বলেন, 'আসলে শুরুতে ওকে বদলানোর কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু যখন দেখলো আমরা দুটি পরিবর্তন করছি, তখন সে বলল "আমাকে বদলিয়ে দাও", তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিই। না হলে ওকে সরাতাম না। আপনারা জানেন আমি ওর ব্যাপারে কী ভাবি।'
Comments