এশিয়ান কাপের ড্রয়ে কেন অনুপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা?

২০২৬ সালের এএফসি নারী এশিয়ান কাপ সামনে রেখে যখন সিডনি অপেরা হাউসের সামনে ১২ দলের মধ্যে সাতটি দেশের অধিনায়ক ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ফটোসেশনে অংশ নিচ্ছিলেন, তখন সেখানে অনেকেই খুঁজে বেরিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও কোচ পিটার বাটলারকে।
অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন, ইতিহাস গড়া বাংলাদেশ দল কেন তাদের অভিষেক আসরের এত গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে উপস্থিত থাকল না? বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।
দ্য ডেইলি স্টার-কে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার এবং কোচ পিটার বাটলারকে এশিয়ান কাপের ড্র অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা দু'জনই বর্তমানে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের সঙ্গে ব্যস্ত, যারা এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ উইমেনস এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দল ২ আগস্ট লাওসের উদ্দেশে রওনা দেবে। ড্র অনুষ্ঠানে গেলে অনুশীলনে চার-পাঁচ দিনের বিঘ্ন ঘটত। তাই আমরা তাদের না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই।'
তবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতিনিধিরা যেতে পারেননি, এমন ধারণা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দিয়ে কিরণ বলেন, 'এখানে কোনো আর্থিক সমস্যা ছিল না। পুরোপুরি প্রশিক্ষণে মনোযোগ ধরে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
বাংলাদেশ ছাড়াও ড্র অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিল আরও চার দেশের প্রতিনিধি—উত্তর কোরিয়া, ইরান, জাপান ও ফিলিপাইন। তবে তাদের অনুপস্থিতির কারণ আলাদাভাবে জানানো হয়নি।
২০২৬ সালের ১ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরে—সিডনি, পার্থ ও গোল্ড কোস্টে চলবে এই মহাদেশীয় নারী ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এই প্রথমবারের মতো তারা নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে গ্রুপ সি-তে ছিল বাংলাদেশ। সেখানে তারা ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানকে। এরপর স্বাগতিক ও গ্রুপ ফেভারিট মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ পড়েছে বি গ্রুপে—যেখানে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন চীন (১৭তম), এশিয়ার পরাশক্তি উত্তর কোরিয়া (৯ম) এবং উজবেকিস্তান (৫১তম)। এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়াই বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য হবে বড় চ্যালেঞ্জ, কিন্তু একইসঙ্গে নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চও।
Comments