আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে: বাটলার

ঐতিহাসিক র‌্যাঙ্কিং অগ্রগতি আর অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো যোগ্যতা অর্জন, বাংলাদেশ নারী ফুটবলের জন্য ২০২৪ বছরটি হয়ে উঠেছে স্বপ্নময়। তবে সাফল্যের এই ধারা ধরে রাখতে বাস্তববাদী থেকে আরও পরিশ্রমের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান কোচ পিটার বাটলার।

'সাপলুডুর মতোই উপরে উঠলে কখনো আবার নেমেও আসতে হয়,' দলের ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে লাফিয়ে ওঠা নিয়ে এভাবেই মন্তব্য করেছেন বাটলার। মিয়ানমারে জুন-জুলাইয়ের দাপুটে অভিযানের পর লাল-সবুজের মেয়েরা ১২৮তম স্থান থেকে উঠে এসেছে ১০৪-এ—যা চলতি তালিকায় যেকোনো দেশের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

এই উন্নতি প্রতিফলিত করছে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় তাদের সাফল্যকেও। গত রোববার অনূর্ধ্ব-২০ দল প্রথমবারের মতো এএফসি উইমেন্স অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে, সেরা রানার্স-আপদের মধ্যে স্থান পেয়ে। আগামী এপ্রিলের থাইল্যান্ড মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে দলটি।

বাটলার গতকাল বাফুফের প্রকাশিত এক ভিডিওতে বলেন, 'আমি জানি, এই অগ্রগতি যেমন দ্রুত হয়েছে, তেমন দ্রুতই হারিয়েও যেতে পারে। মেয়েরা এই স্বীকৃতি ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য, কারণ আমরা এখন প্রতিযোগিতামূলক ও সুস্থ কাজের পরিবেশে এগোচ্ছি।'

সাফ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবং ছয় ম্যাচের অপরাজিত ধারা নিয়ে লাওসে অনূর্ধ্ব-২০ বাছাইপর্বে নেমেছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিক লাওস ও তিমুর-লেস্তেকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বিশ্বমানের প্রতিপক্ষের। ৬-১ গোলে হেরে গেলেও প্রথমার্ধ ছিল সমতায়।

পরাজয়ের ব্যাখ্যায় বাটলার বলেন, 'আমি মেয়েদের নিয়ে গর্বিত, কিন্তু বিরতিতে বুঝেছিলাম, তারা ক্লান্ত, শারীরিকভাবে শেষ হয়ে গেছে। জ্বর, ইনজুরি আর নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল দল। দ্বিতীয়ার্ধে দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের কঠিনভাবে চাপে রেখেছে।'

প্রচলিত রক্ষণাত্মক কৌশল এড়িয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সাবেক লাইবেরিয়া ও বতসোয়ানা কোচ বলেন, 'আমরা চাইলে "বাস পার্ক" করে, লং বল খেলে মরিয়া হয়ে রক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি সে পথে হাঁটি না। প্রথমার্ধে আমরা সমানে সমান লড়েছি, যা মেয়েদের স্থিতিস্থাপকতা ও মনোবলকে প্রমাণ করেছে।'

তিনি এটিকে এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হিসেবে দেখছেন, 'বিশ্বের অন্যতম সেরা অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের বিপক্ষে খেলে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। বাস্তববাদী হতে হবে, পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে, যেন এই ফিফা র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায় এবং শতকের নিচে নামানো যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

3h ago