কোরিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হলেও আশা রয়েছে বাংলাদেশের

প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ছিল বেশ শক্তিশালী। তবে সাম্প্রতিক সময়ের দারুণ পারফরম্যান্সে আশার বীজ বুনেছিল বাংলাদেশ। জয় পেলে তো বটেই, ড্র করলেই মূল পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেতো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে উল্টো বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। তাতে মূল পর্বে খেলার আশা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের।

রোববার ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের 'এইচ' গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশের তরুণীদের ৬-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-২০ দল। অথচ প্রথমে গোল দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশই। গ্রুপের তিন ম্যাচ জিতেই মূল পর্ব নিশ্চিত করল কোরিয়া।

অন্যদিকে হারলেও সেরা দ্বিতীয় হয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। আগের দুই ম্যাচে তারা লাওসকে ৩-১ গোলের হারানোর পর তিমুর-লেস্তেকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। এদিনের হারের পর এখনও আফঈদাদের গোল ব্যবধান +৫। 

এখন বাংলাদেশের সব দৃষ্টি লেবানন বনাম চীন ম্যাচের দিকে। কারণ এই ম্যাচের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের মূল পর্বে খেলার আশা। কারণ রানার্সআপ হওয়া সেরা তিনটি দল পাবে মূল পর্বের টিকিট।

লেবানন হারলেই মূল পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। কারণ অন্য গ্রুপ বিবেচনায় নাটকীয় কিছু না হলে দ্বিতীয় সেরা দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে থাকার কথা তাদের। এরমধ্যেই এ দৌড়ে তারা হংকং, ইরান, মায়ানমার ও নেপালকে পেছনে ফেলেছে তারা। 

ম্যাচের শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় মিনিটেই একেবারে সামনাসামনি সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন দলোর তারকা ফরোয়ার্ড মোসাম্মাত সাগরিকা। তবে ১৫ মিনিটে শান্তি মার্ডির শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের রিবাউন্ড থেকে সহজ ট্যাপ-ইনে গোল করেন তৃষ্ণা।

কিন্তু এর পরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় কোরিয়ার হাতে। পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে দ্রুত সমতায় ফেরে তারা এবং ধীরে ধীরে চাপ বাড়াতে থাকে। বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডারের হাই-লাইন ডিফেন্স ভেদ করে লং বল থেকে কয়েকটি গোল পায় কোরিয়া।

এতে বাধ্য হয়ে বাটলার ৪-৪-১-১ ফরমেশনে পরিবর্তন আনেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি; বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১ নম্বরে থাকা কোরিয়ানরা পুরোপুরি দখলে নেয় ম্যাচ, ১-১ থেকে এক লাফে ৬-১-এ নিয়ে যায় ব্যবধান। তবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রানি মণ্ডলের একের পর এক অসাধারণ সেভ না থাকলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। শেষ দিকে তিনটি গোল হজম করতে হয় শেষ ১০ মিনিটের মধ্যেই।

Comments

The Daily Star  | English

Investment slump deepens

Imports of capital machinery have fallen to multi-year lows, dipping even below Covid-19 levels

7h ago