ইতিহাস গড়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হারলেও এর আগে বাংলাদেশ জিতেছিল লাওস ও তিমুর লেস্তের বিপক্ষে। ওই দুটি ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ার সুবাদে বিশাল সুখবর পেল লাল-সবুজের মেয়েরা। বাছাই পর্বের বাধা পেরিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠল তারা।
গত জুলাই মাসে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। প্রথমবার মতো তারা ঠাঁই করে নেয় নারী এশিয়ান কাপে। ঋতুপর্ণা চাকমা-মারিয়া মান্ডাদের পর রোববার আরেকটি বড় সাফল্য নিয়ে এসেছে মোসাম্মৎ সাগরিকা-শান্তি মার্ডিদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল।
ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারায় মূল পর্বে যাওয়ার অপেক্ষা লম্বা হয়েছিল বাংলাদেশের। তারা তাকিয়েছিল চীন বনাম লেবানন ম্যাচের ফলের দিকে। সমীকরণ ছিল, লেবানন হারলেই অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত হবে পিটার বাটলারের দলের। হয়েছেও তাই, ইঞ্চুয়ানে স্বাগতিক চীন ৮-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে লেবাননকে।
বাছাইয়ের 'এইচ' গ্রুপে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে সেরা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। রানার্সআপ হওয়া বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬। ফলে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়া সেরা তিনটি দলের একটি হিসেবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের টিকিট কেটেছে তারা। গোল ব্যবধানে 'ই' গ্রুপের রানার্সআপ লেবাননের (-৬) চেয়ে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশ (+৫)।
এবারের বাছাইয়ে আট গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নিয়েছে মোট ৩২টি দল। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা আটটি দলের সঙ্গে দ্বিতীয় হওয়া সেরা তিনটি দলও মূলপর্বে জায়গা পাবে। আগামী বছরের এপ্রিলে ১২টি দল নিয়ে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে লড়াই জমাতে না পারলেও আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ছিল দুর্দান্ত। বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করে তারা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে তিমুরকে দলটি বিধ্বস্ত করে ৮-০ গোলে। শেষ ম্যাচে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো বাটলারের শিষ্যরা। তা না পারলেও মূল লক্ষ্য ঠিকই অর্জন করেছেন সাগরিকা-শান্তিরা।
Comments