আল-কারামাহকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে কিংস

কোচ নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার মাঝে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়িয়েও দারুণ দৃঢ়তা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রথম ধাপ পেরিয়ে গেল বসুন্ধরা কিংস। কাতারের দোহায় সিরিয়ার আটবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন ও এশিয়ান প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞ দল আল-কারামাহ এসসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কিংস নিশ্চিত করলো গ্রুপ পর্বের টিকিট।

নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইম্যানুয়েল সানডের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলেই জয় পায় কিংস। এই জয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো এএফসি প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে উঠলো তারা। তবে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে এটি তাদের প্রথম প্রিলিমিনারি রাউন্ড খেলা, যেখানে সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান, তবে লাইসেন্সজনিত সমস্যায় অযোগ্য ঘোষিত হয় তারা।

এখন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি কিংস, কারণ দিনের শুরুতে নিজেদের মাঠে কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেড এফসির কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

ম্যাচের আগে কিংসের শিবিরে ছিল কোচ নিয়োগের নাটকীয়তা। মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ব্রাজিলিয়ান কোচ সার্জিও ফারিয়াস কিংসে যোগ দেবেন এবং এএফসি অভিযানের আগে কাতারে এসে দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু ম্যাচের আগের দিনই ইরাকি ক্লাব দোহোক এসসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিয়াসের সই করার ছবি প্রকাশ করে সবাইকে বিস্মিত করে।

তবুও মাঠে নেমে চার বিদেশি তারকার নেতৃত্বে (ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দরিয়েলটন গোমেজ, ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগুস্তো, নাইজেরিয়ান জুটি ইম্যানুয়েল সানডে ও ইম্যানুয়েল টনি) কিংস প্রমাণ করে দেয় তারা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। বিপিএলে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা তাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোঝাপড়া দারুণভাবে কাজে লাগায়। বদলি হিসেবে অভিষেক হয় ইংল্যান্ডপ্রবাসী কিউবা মিচেলেরও।

শুরুর মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক কিংস তৃতীয় মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রসে দরিয়েলটনের বাইসাইকেল কিকে গোল পেতে পারতো। তবে তিন মিনিট পর কর্নার থেকে ইম্যানুয়েল টনির শট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাকহিলে জালের ঠিকানা খুঁজে পান সানডে।

প্রথমার্ধে বল দখলে পিছিয়ে থেকেও কিংস সুযোগ তৈরি করে এগিয়ে ছিল। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল অগুস্তোর শট সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে চলে গেলে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে আল-করামাহ বল দখলে আধিপত্য দেখালেও কিংসের শক্ত রক্ষণভাগ ভাঙতে ব্যর্থ হয়। গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবন দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করে দলকে এগিয়ে রাখেন।

শেষ দিকে রাকিব হোসেন ও বদলি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগেনি। আল-কারামাহ সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে, কিন্তু শ্রাবনের দুর্দান্ত সেভে সামোদ কাদিরির একটি হেড বাদে তারা বড় কোনো হুমকি তৈরি করতে পারেনি।

Comments

The Daily Star  | English

The consensus to keep women out

The project of egalitarianism cannot be subcontracted to the very custodians of inequality.

9h ago