নাটকীয় জয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত লিভারপুল কোচ

অ্যানফিল্ডে শুক্রবার রাতটা ছিল আবেগ আর নাটকীয়তায় ভরা। একদিকে প্রয়াত ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোটার স্মরণে সমর্থকদের হৃদয়ছোঁয়া শ্রদ্ধা, অন্যদিকে মাঠে টানটান উত্তেজনা। সব মিলিয়ে লিভারপুলের মৌসুমের প্রথম ম্যাচ রূপ নিল এক অনন্য মুহূর্তে। বোর্নমাউথকে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা রক্ষার যাত্রা শুরু করল আর্নে স্লটের দল।

ম্যাচের শুরুতে গ্যালারিতে বাজল জোটার জন্য গান, শেষ দিকে গোলের ফেটে পড়ল উল্লাস। সমর্থকদের আবেগে ভেসে গেলেন লিভারপুল কোচ স্লটও। ম্যাচ শেষে বললেন, 'আপনারা যদি এই রাতের সারসংক্ষেপ চান, তবে আমার আধা ঘণ্টা সময় লাগবে।'

শেষ মুহূর্তের উত্তেজনায় অভিভূত স্লট আরও বললেন, 'শেষ কয়েক মিনিটের পরিবেশ ছিল অবিশ্বাস্য। ভেবেছিলাম এখানে গত মৌসুমে শিরোপা জেতার অনুভূতিই সবসময় বিশেষ থাকবে, কিন্তু শেষ ছয়-সাত মিনিটে যা হলো—ওয়াও, ওয়াও, ওয়াও, ওয়াও! অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।'

'এমন এক ম্যাচে যেন তিনটি দল খেলল। কেন তিনটি? বোর্নমাউথ আর আমরা তো আছিই, কিন্তু রেফারি অ্যান্থনি টেলরও অসাধারণভাবে ম্যাচ চালিয়ে গেলেন। প্রতি ক্ষুদ্র ঘটনায় বাঁশি না বাজিয়ে খেলার গতি ধরে রাখলেন। সত্যিই দেখার মতো এক ম্যাচ ছিল। আর শেষে আমরা জিতেছি, তাই আবেগ আরও বেড়েছে,' যোগ করেন তিনি।

তবে স্লটের চোখে সবচেয়ে আবেগঘন বিষয় ছিল জোটাকে স্মরণ। তিনি বললেন, 'খেলার আগে, প্রথম মিনিটে, ২০ মিনিটে এবং শেষে সব জায়গায় তারা জোটার জন্য গান গেয়েছে। কতটা শক্তিশালী, কতটা আবেগঘন ছিল তা! তার স্ত্রী, সন্তানরা গ্যালারিতে ছিলেন, তাদের জন্য নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু ছিল এটা, কতোটা ভালোবাসা পেতেন এখানে।'

জয়ের নায়ক কিয়েসাকে নিয়েও প্রশংসা করেন স্লট। ক্লাবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদানই যেন দিলেন তিনি, 'সে সমর্থকদের প্রতিদান দিয়েছে।'

যদিও ডিফেন্সভাগের দুর্বলতা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত কোচ। দু'বার সেমেনিও সুযোগ কাজে লাগান লিভারপুলের ভুলে। 'সাধারণত আমরা খেলোয়াড়দের নিয়ে অভিযোগ করি যে তারা বলের জন্য যথেষ্ট দ্রুত পিছনে দৌড়ায় না। কিন্তু আজ তারা দৌড়েছে।'

'যা করতে হবে তা হলো কোথায় বল হারাচ্ছি সেটা নিয়ন্ত্রণ করা। আদর্শভাবে বল হারানোই উচিত নয়। কিন্তু যদি হারাও, তাহলে যেন অন্তত শটের মাধ্যমে হারাও, অথবা কর্নার কিংবা গোলকিক হয় নিজেদের ডি-বক্সের সামনে নয়। তবে আমি সবসময় দেখি খেলোয়াড়রা কতটা পরিশ্রম করছে। আর আজ দু'বারই তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে,' বলেন স্লট।

Comments

The Daily Star  | English

Promises vs reality: RU students still face poor food, housing woes

RU has around 32,000 students but its 17 residential halls can house only about 10,000

1h ago