সাদামাটা পারফরম্যান্সে এবারও নেপালকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ

হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমকে ছাড়া খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারল না বাংলাদেশ। তাদের মতো নেপালের কাছ থেকেও এলো সাদামাটা পারফরম্যান্স। ফলে দুই দলের গোলরক্ষকদের দিতে হলো না তেমন বড় কোনো পরীক্ষা। শুরুর মতো খেলা শেষও হলো গোলশূন্য সমতায়।
শনিবার কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে দুই দলের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটিতে কেউ জেতেনি। আগামী মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার মুখোমুখি হবে তারা।
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল শেষবার জিতেছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। ঢাকায় প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে তাদেরকে পরাস্ত করেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এরপর থেকে জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে! গত পাঁচ বছরে দুই দলের খেলা ছয়টি ম্যাচের চারটি হয়েছে ড্র। বাকি দুটিতে হারের তেতো স্বাদ মিলেছে বাংলাদেশের।
সবশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এই মাঠেই নেপালের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার স্বাগতিকদের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল তারা। এবার ড্রয়ের স্বস্তি মিললেও হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।
দুই প্রবাসী তারকা মিডফিল্ডার হামজা ও শমিত স্কোয়াডে যোগ দেননি। আরেক প্রবাসী তরুণ উইঙ্গার ফাহামিদুল ইসলাম অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে ভিয়েতনামে গেছেন এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে খেলতে। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। তাদের অনুপস্থিতিতে এদিন ভুগেছে বাংলাদেশ।
গত জুনে ঘরের মাঠে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রায় তিন মাস পর নেপালের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরেছে তারা। একাদশে ফেরেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। যদিও মাঝমাঠ থেকে তিনি, মোহাম্মদ হৃদয় ও সোহেল রানা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বলের যোগান দিতে পারেননি ফরোয়ার্ড সুমন রাজা ও রাকিব হোসেনকে।
মিতুলের জায়গায় গোলপোস্টের নিচে দাঁড়ানো সুজন হোসেনের পাশাপাশি রক্ষণভাগে তপু বর্মণ-তারিক কাজীরা ছিলেন সতর্ক। তাই বিপদ ঘটাতে পারেননি নেপালের অঞ্জন বিস্তা-লাকেন লিম্বুরা।
বাংলাদেশ যদিও প্রথমার্ধে নবম মিনিটে একবার বল পাঠিয়েছিল প্রতিপক্ষের জালে। ডি-বক্সে সুমন অফসাইডে থাকায় সেই গোল টেকেনি। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে পাঁচজনকে নামান কোচ কাবরেরা। কিন্তু স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
Comments