ব্যাটিংয়ে সেই বেহাল দশাই চলমান

বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে শেষ পরীক্ষাতেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা দিশে খুঁজে পেলেন না। বরং আরও একবার ব্যাটিং লাইনআপ মুখ থুবড়ে পড়ায় বিশ্বকাপের আগে অস্বস্তি বাড়ল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
শনিবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি মাঠে আইসিসির অফিসিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স বেশ বিবর্ণ। ভারতের ১৮২ রানের জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে স্রেফ ১২১ রান করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে হারায় বাংলাদেশ। আর্শ্বদ্বীপ সিংয়ের বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে কট বিহাইন্ড হন তিনি। তিনে নেমে জাসপ্রিট বুমরাহকে এক চারে শুরু করলেও লিটন দাসও কাবু আর্শ্বদ্বীপের বলে। ভেতরে ঢোকা দারুণ এক বলে বেল উড়ে যায় ৮ বলে ৬ করা লিটনের।
অধিনায়ক শান্ত চারে এসে ৬ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে সহজ ক্যাচে ফেরেন তিনি। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম টিকে থাকলেও হাঁসফাঁস করছিলেন। তার ভোগান্তি থামান হার্দিক পান্ডিয়া। টাইমিং গড়বড় করে ১৮ বলে ১৭ রান করা তানজিদ দেন সহজ ক্যাচ। তার আগে বিদায় নেন তাওহিদ হৃদয়। আকসার প্যাটেলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৪ বলে ১৩ করেন গত কিছু দিন রান পাওয়া ডানহাতি ব্যাটার।
৪১ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। শুরুতে উইকেট তুলে ভারতও সেরা বোলারদের আক্রমণ থেকে সরিয়ে বাকিদের দেয় সুযোগ। চাপ আলগা হলেও সাকিব-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ছিলো না ম্যাচের কোন ইমপ্যাক্ট। মাহমুদউল্লাহ এক পর্যায়ে হাত খুলে কিছু দ্রুত রান বাড়াতে পারলেও সাকিব থাকেন কুঁকড়ে। ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে স্রেফ ব্যাটিং অনুশীলনই করেছেন তিনি। সেটার দেখার জন্য ছিলো না সুখকর। ১৯তম ওভারে গিয়ে সাকিব তার লড়াই থামান ৩৩ বলে ২৮ করে।
মাহমুদউল্লাহ ২৮ বলে ৪০ করে বেরিয়ে গিয়ে জাকের আলি অনিককে সুযোগ দিয়েছিলেন, তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। রিশাদ হোসেনও ৫ রানের বেশি করেননি।
৮ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। তার আগে দলের এমন ব্যাটিং প্রশ্নের স্রোত আরও বাড়াবে।
Comments