জোনস-মানসির রেকর্ডের পর বৃষ্টিতে পণ্ড ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড ম্যাচ
বিরূপ আবহাওয়ার কবলে পড়ল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যকার 'বি' গ্রুপের ম্যাচ গেল পণ্ড হয়ে। শুরু থেকেই কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে স্কটিশরা ১০ ওভার ব্যাট করতে পারলেও ইংলিশদের লক্ষ্য তাড়ার সুযোগই মিলল না। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো দুই দলকে।
মঙ্গলবার বার্বাডোজে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সময় অনুসারে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে আম্পায়ারদের কাছ থেকে আসে খেলা বাতিলের ঘোষণা। এর আগে স্কটল্যান্ড অবিচ্ছিন্ন রেকর্ড উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ৯০ রান। ডানহাতি মাইকেল জোনস ৩০ বলে করেন অপরাজিত ৪৫ রান। বাঁহাতি জর্জ মানসির ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে অপরাজিত ৪১ রান। দুজনেই মারেন সমান চারটি করে চার ও দুটি করে ছক্কা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে এটাই স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। আগের রেকর্ডেও ছিল মানসির নাম। তিনি ও কাইল কোয়েটজার ২০১৬ সালে নাগপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এনেছিলেন ৮৪ রান।
ডিএলএস পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়ায় ১০৯ রানের লক্ষ্য। কিন্তু ইনিংস বিরতিতে আবার বৃষ্টি নামলে খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকেনি। ফলে ব্যাটিংয়ে নামা সম্ভব হয়নি জস বাটলারের দলের পক্ষে।
বৃষ্টির বাধায় নির্ধারিত সময়ের ৫২ মিনিট পর মাঠে নামতে পারে টস জেতা স্কটল্যান্ড। তাদের দুই ওপেনার শুরু করেন ইতিবাচক ঢঙে। পেসার মার্ক উডের করা ম্যাচের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে মিড অনের ওপর দিয়ে চার মারেন মানসি। পরের ওভারে জোনস আরেক পেসার জফ্রা আর্চারকে চার মারেন পয়েন্ট দিয়ে।
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে বদল এনে আনা হয় স্পিনার মঈন আলিকে। তাকে দুটি চার মেরে অভ্যর্থনা জানান মানসি। পঞ্চম ওভারে অবশ্য মানসি ফিরতে পারতেন সাজঘরে। কিন্তু উডের বল আকাশে তুলে থার্ড ম্যানে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিলেও নো বলের কারণে বেঁচে যান। তখন তিনি খেলছিলেন ১৬ রানে।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মাইকেল জর্ডানের ওপর চড়াও হন জোনস। একটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকান তিনি। সব মিলিয়ে ওই ওভার থেকে ওঠে ১৫ রান। ৬ ওভারে স্কটিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৪৯ রান।
মঈন আক্রমণে ফিরে দুই বল করার পর ফের বৃষ্টির বাগড়া দিলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মাঠে ফেরে দুই দল। অনেক সময় নষ্ট হওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১০ ওভারে। এমন অবস্থায় ছিল দ্রুত রান তোলার চাহিদা। সেটা পূরণ করে জোনস ও মানসি আগের ৫১ রানের সঙ্গে আরও ৩৯ রান যোগ করেন ইনিংসের বাকি ২২ বলে।
এই অংশে সবচেয়ে বড় ঝড়টা যায় লেগ স্পিনার আদিল রশিদের ওপর দিয়ে। অষ্টম ওভারে ১৮ রান দিয়ে ফেলেন তিনি। প্রথম বলেই লং অফ দিয়ে ছক্কা মারেন জোনস। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রিভার্স সুইপে যথাক্রমে চার ও ছক্কা আসে মানসির ব্যাট থেকে।
ইনিংসের শেষ বলও যায় সীমানার বাইরে। পরিস্থিতির বিচারে আগের পাঁচটি দারুণ ডেলিভারির পর জোনসের ব্যাটে চার হজম করেন রশিদ। ৯০ রানের পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি করে পয়েন্ট। আপাতত ২ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষে আছে নামিবিয়া। গতকাল সোমবার তারা সুপার ওভারে গড়ানো রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হারায় ওমানকে। গ্রুপের আরেক দল অস্ট্রেলিয়া এখনও কোনো ম্যাচ খেলেনি।
Comments