ব্যাটারদের আধিপত্য ভরা ম্যাচ দেখলে টিভি বন্ধ করে দেন বুমরাহ
টি-টোয়েন্টির আগমনের পর থেকেই ব্যাটারদের দিকে হেলে পড়েছে খেলা। সবশেষ আইপিএলে অবিশ্বাস্য পর্যায়ে বোলারদের উপর ঝড় বয়ে গেছে। ক্রিকেটবিশ্বের আর কোনো টুর্নামেন্টেই রানের ফোয়ারা ছুটেনি এভাবে। কোনো বোলারের দুঃসময় দেখতে বোলারদের দলের কেউই পছন্দ করবেন না। শুধু ব্যাটারদের রাজত্ব চলে যেসব ম্যাচে, সেসব জাসপ্রিত বুমরাহরও অপছন্দ। এমনকি রান বন্যায় হওয়া ম্যাচ দেখলে তিনি নাকি টিভিই বন্ধ করে দেন।
রবিবার চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেটের স্পেলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন বুমরাহ। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও ৩ ওভারে ৬ রানে ২ উইকেট পেয়ে হয়েছিলন ম্যাচসেরা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এই পেসার বলেন, 'ব্যাট এবং বলের চ্যালেঞ্জ যখন ভালো হয়, তখন ম্যাচ দেখতেও বেশি মজাদার লাগে। যখন ব্যাট বনাম ব্যাট হয়, আমি তো টিভি বন্ধই করে দেই। ছোটবেলায়ও আমি বোলিংয়ের ভক্ত ছিলাম। যখন ব্যাট এবং বলের মধ্যে চ্যালেঞ্জ হয়, এমন খেলা আমি পছন্দ করি।'
সাধারণত কুড়ি ওভারের খেলায় ব্যাটিং সহায়ক পিচ রাখার চেষ্টাই থাকে। এবারের বিশ্বকাপে্র পিচগুলোতে যদিও বোলারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা বরাদ্ধ আছে। সেসব কাজে লাগিয়ে সাফল্য পাওয়া বোলারদের প্রশংসা হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। বোলারদের প্রশংসা হওয়া দেখে কেমন লাগছে তার। এমন প্রশ্নের জবাবে বুমরাহ বলেন, 'আমার তো এর চেয়ে বেশি আর খুশি হতেই পারে না। আমি তো বোলারদের প্রশংসা ও ওকালতি করার পুরো চেষ্টাই করি।'
'আমাদের দেশ অবশ্যই ব্যাটসম্যানপ্রেমী, আমরা বুঝি। তবে আমরা খুব খুশি যে বোলাররা সামনে আসছে। অবশ্যই আমরা যে আইপিএল খেলে এলাম, সেটি খুব বোলার বান্ধব ছিল না। আমরা বেশ খুশি যে ওই বোঝা নিয়ে এখানে আসিনি। (নিউইয়র্কে) আমরা যখন সহায়তা পাচ্ছিলাম, সেটা ব্যবহারের চেষ্টা করছিলাম। আমরা যথেষ্ট টি-টোয়েন্টি খেলেছি, তো সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগে।', যোগ করেন ভারতের তারকা পেসার।
অবশ্য চলতি বিশ্বকাপে বোলারদের পক্ষে বেশিই কথা বলছে পিচ। ব্যাট-বলের ভারসাম্য এখনো দেখা যায়নি। হাই-স্কোরিং ম্যাচের সংখ্যা একেবারে নগণ্য। ১৭তম ম্যাচে এসে প্রথম দুইশ রানের স্কোর দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্যে। বোলারদের এই রাজত্ব নিশ্চয়ই ভালো লাগছে না ব্যাটারদের!
Comments