শুরু থেকে একটু দেখে খেলার পরিকল্পনা ছিলো: শান্ত

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের উইকেটে হালকা মন্থরতা থাকলেও বাউন্স বেশ সমান। রান করা তাই এখানে কঠিন না। কিন্তু এমন মাঠে পুরো ২০ ওভার খেলে বাংলাদেশ জড়ো করতে পারে ১৪০ রান।
Najmul Hossain Shanto & Litton Das

যে উইকেটে আগের ম্যাচে দুইশো ছুঁইছুঁই রান দেখা গেছে, সেখানে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশ নিল ক্রিজ আঁকড়ে থাকার পথ। একের পর এক ডট বলে বাড়ল চাপ। বিশেষ করে লিটন দাস নিজেকে রাখলেন খোলসবন্দি। কেন এমন অ্যাপ্রোচ? ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন, পরিকল্পনা করেই এমন করেছেন তারা। শুরু থেকে উইকেট না হারানোর চিন্তা ছিলো তাদের।

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের উইকেটে হালকা মন্থরতা থাকলেও বাউন্স বেশ সমান। রান করা তাই এখানে কঠিন না। কিন্তু এমন মাঠে পুরো ২০ ওভার খেলে বাংলাদেশ জড়ো করতে পারে ১৪০ রান। এই পুঁজি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতন শক্তিশালী দলের বিপক্ষে লড়াই করার বাস্তবতা ছিলো না, হয়ওনি।  অজিরা ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান তোলার পর বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি। ডিএলএস মেথডে ২৮ রানে অনায়াসে জয় পায় তারা।  পুরো ম্যাচ হলেও খেলা যে অন্তত ৫ ওভার আগে শেষ হতো সেই আভাস ছিলো অজিদের ব্যাটিংয়ে।

মূলত বাংলাদেশ অল্প রান করার পরই ম্যাচ হেলে যায় অস্ট্রেলিয়ার দিকে। টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ওভার তানজিদ হাসান তামিমকে হারালেও পাওয়ার প্লেতে আর বিপর্যয় হয়নি। কিন্তু উইকেট বাঁচিয়ে রানও যে তোলা যায়নি। লিটন নিজেকে বোতলবন্দি করে প্রথম রান নেন দশম বলে গিয়ে। ২৫ বল খেলে ফেরেন ১৬ রান করে। শান্ত শুরুতে মারলেও পরে নিজেকে গুটিয়ে নেন। আউট হন ৩৬ বলে ৪১ করে। একমাত্র তাওহিদ হৃদয় (২৮ বলে ৪০) ছাড়া আর কেউই ছিলেন না ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে।

হারের কৈফিয়ত দিতে এসে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান শুরুতে তারা ধরে খেলার পরিকল্পনা করে নেমেছিলেন,  'শুরুর দিকে আমাদের একটু দেখে খেলারই পরিকল্পনা ছিলো। কারণ আগের ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো শুরু পাচ্ছিলাম না। কাজেই ছয় ওভার কীভাবে আমরা উইকেট হাতে নিয়ে শেষ করতে পারি এটা একটা পরিকল্পনা ছিলো। যেটা আমাদের যে পরিকল্পনা ছিলো ওই অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি (পাওয়ার প্লে)। আরেকটু ভালো হতে পারত। কিন্তু আমরা খুশি ছিলাম।'

শান্ত ফেরেন ১৩তম ওভারে। তিনি আর পাঁচ ওভার খেললে জেতার মতন পুঁজি পাওয়া যেত বলে মত তার,  'আমার মনে হয় আমি যে সময় আউট হয়েছি ওই সময় আউট না হয়ে যদি আরেকটু খেলাটা ১৭-১৮ ওভার পর্যন্ত নিতে পারতাম তাহলে ১৬০-১৭০ রানে যেতে পারত। এটাও বলব শুরুতে উইকেট একটু মন্থর ছিলো, খুব যে একটা বল ব্যাটে আসছিল তা না। আমি যেটা বললাম থিতু ব্যাটার থাকা জরুরি ছিলো।'

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দেখে অবশ্য মনে হয়েছে ১৭০ রানও এই উইকেটে নিরাপদ হতো না। অন্তত ১৮০ পার করা পুঁজি থাকলেই লড়াই জমাতে পারত বাংলাদেশ। তবু ২০ রানের ঘাটতির কথাই জানালেন বাংলাদেশ দলনায়ক,  'আমরা যখন ব্যাট করি মনে হচ্ছিল ১৬০-১৭০ এর ভেতরে যদি থাকে। অন্তত ১৬০ হলে একটা ভালো সংগ্রহ। উইকেট শুরুতে একটু মন্থর ছিলো। যদিও ওদের ব্যাটিংয়ে তুলনামূলক সহজ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে, বল ভিজে যাওয়ায় ভালো ব্যাটে আসছিল। ওরা আমাদের পেস বোলারদের বিপক্ষে একটু স্বস্তিতে খেলেছে। শুরুতে মনে হয়েছে থিতু ব্যাটার থাকা জরুরি ছিলো। থিতু ব্যাটার থাকলে ১৬০-১৭০ ভালো সংগ্রহ ছিলো।'

Comments