কেন বদলে গেল চট্টগ্রামের উইকেটের আচরণ?

Litton Das
কঠিন উইকেটেও নান্দনিক ব্যাটিংয়ের সুর বেজেছে লিটন দাসের ব্যাটে। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলে বরাবর চট্টগ্রাম পর্বের দিকে নজর বেশি থাকে সবার। কারণ মিরপুরে মন্থর উইকেটে কম রানের ম্যাচের পর চট্টগ্রামে  ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে দেখা মিলে বড় রানের। এবার হচ্ছে উল্টো। চট্টগ্রাম পর্বে প্রথম ম্যাচে বড় রানের পর উইকেটে বাজছে মিরপুরের সুর। মন্থর ও নিচু বাউন্সে আসছে না রান। এমনকি রাতের ম্যাচেও লো স্কোরিং লড়াই তৈরি করতে পারছে না টি-টোয়েন্টির ঝাঁজ।

গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই দেখা মেলে বড় রান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশাল করে ২০২ রান, জবাবে ১৭৬ পর্যন্ত যেতে পারে চ্যালেঞ্জার্সও।

ওইদিন রাতের ম্যাচেই আবার হয় লো স্কোরিং। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৩০ রান তাড়া করতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় রংপুর রাইডার্সকে।

পরদিন বরিশালের ১৭৭ রানের জবাবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স থামে ১৬৫ রানে। রাতের ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের ১৫৮ রান তাড়া করে জেতে অবশ্য স্বাগতিকরা।

একদিন বিরতির পর উইকেট হয়ে যায় আরও মন্থর। সোমবার ঢাকার ১২৮ রান টপকাতে শেষ ওভারে যেতে হয় সিলেট স্টাইকার্স্কে। রাতের ম্যাচেও স্বাগতিকদের ১৩৫ রান টপকাতে কিছুটা বেগ পেতে হয় কুমিল্লাকে।  মঙ্গলবারও দুই ম্যাচে রান হয়েছে ১৩০ এর ঘরে।  সিলেট ১৩৩ রান করার পর লিটন দাসের ঝড় সত্ত্বেও মাত্র ৬ বল আগে ম্যাচ জিততে পারে কুমিল্লা।

এসব ম্যাচে মিরপুরের মতই বল থেমে আসতে দেখা গেছে, আচমকা নিচু হয়েছে কিছু বল। আড়ষ্ট উইকেটে প্রাণখুলে খেলতে পারেননি বেশিরভাগ ব্যাটার।

সিলেট স্টাইকার্সের  প্রধান কোচ রাজিন সালেহ মনে করেন উইকেটে পর্যাপ্ত ঘাস না রাখায় তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি,  'আমার মনে হয় উইকেটে একটু ঘাস থাকলে মনে হয় ভালো হতো। ঘাসটা কেটে ফেলায় এখানে বলটা ধরছে এবং কিছু বল নিচু হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু ঘাস নেই, রাতের খেলাতে ব্যবহৃত উইকেট। তাতে আরেকটু বলটা গ্রিপ করছে।'

'সাধারণত সাদা রঙের উইকেটে একটু ঘাস থাকলে ভালো যায় এবং রানের উইকেট থাকে। ঘাস কমে গিয়েছে, একটু স্টিকি হয়ে গিয়েছে। বল গ্রিপ করার পরিস্থিতি বেশি তৈরি হয়েছে। রানটা তাই কম হচ্ছে।'

বাকি ব্যাটারদের ধুঁকতে থাকার মাঝে কঠিন উইকেটেও উত্তাল ছিল লিটনের ম্যাচ। শেষ দুই ম্যাচে তার রান ২২ বলে ৪০ ও ৪২ বলে ৭০। দারুণ সব শট খেলে টানা দুটি ম্যাচ সেরা পুরস্কার জেতেন তিনি। লিটনের পর্যবেক্ষণ বলছে রান হওয়া এবং না হওয়ার দুই কারনই শিশিরের উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতি,  'ঢাকায় শেষ দুটো ম্যাচে রান হওয়ার কারণ ছিল প্রবল শিশিরের প্রভাব। যেটা খুব কম থাকে। চট্টগ্রামে এই সময়ে খেলা হলে প্রচুর শিশির থাকে। দ্বিতীয় ম্যাচটা দেখবেন ১৯০, ২০০ রানও চেজ হয়ে যায়। শেষ দুই তিন ম্যাচে কিন্তু শিশির নেই। শিশির না থাকায় কিন্তু উইকেটের আচরণ ভিন্ন হয়ে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

DMC suspends MBBS classes amid student protest, orders to vacate halls

The authorities also directed all students to vacate their hostels by 12:00pm tomorrow

12m ago