বিপিএল

শরিফুলের ঝাঁজে সিলেটকে গুঁড়িয়ে প্লে অফে চিটাগাং কিংস

Shoriful Islam

আগের ম্যাচ জিতেই প্লে অফের কাছে চলে গিয়েছিলো চিটাগাং কিংস। যেটুকু অনিশ্চয়তা ছিলো সিলেট স্ট্রাইকার্সকে গুঁড়িয়ে দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। বড় পুঁজি নিয়ে শরিফুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে পারিশ্রমিক ইস্যুতে টুর্নামেন্টে বিতর্কের জন্ম দেওয়া দলটি নিশ্চিত করে ফেলেছে প্লে অফ। 

মিরপুরে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচ হয়েছে একদম একপেশে। স্ট্রাইকার্সকে তাতে ৯৬ রানে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছে কিংস। আগে ব্যাট করে দুই ফিফটি আর দুই কার্যকর ইনিংসে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে চিটাগাং কিংস। জবাব দিতে নেমে বিপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাত্র ১০০ রান করতে পেরেছে সিলেট। বোলিংয়ে কিংসের নায়ক শরিফুল ৩.২ ওভার বল করে ৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে পা রাখল চিটাগাং কিংস। শেষ ম্যাচে তারা যদি ফরচুন বরিশালকে হারাতে পারে তাহলে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলাও নিশ্চিত করে ফেলবে। সেক্ষেত্রে রংপুর রাইডার্সকে খেলতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচ।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য এবারের বিপিএল ছিলো চরম হতাশার। ১২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে তারা। সেই দুই জয় আসে সিলেট ভেন্যু।

এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে শুরুতেই জাতীয় দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায় চিটাগাং, দ্রুত ফেরেন গ্রায়াম ক্লার্কও। তবে পাকিস্তানি খাওয়াজা নাফে জ্বলে উঠেন, তার সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনে মিলে দলকে নিয়ে যান শক্ত জায়গায়। নাফে ৩০ বলে ৫২ ও মিঠুন ৩৮ বলে করেন ৫২ রান।

এই দুজনের ফেরার পর শামীম হোসেন পাটোয়ারি নেমে ২৩ বলে করেন ৩৮ রান। শেষ দিকে বোলার খালেদ আহমেদ মাত্র ১৩ বলের উপস্থিতিতে করে ফেলেন ২৫ রান, যাতে তাদের দল চলে যায় দুইশোর কাছে।

বিশাল লক্ষ্য নেমে জাওয়াদ আবরারকে শুরুতে হারানোর পর রনি তালুকদার-জাকির হাসানের ব্যাটে ৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিলো সিলেট। জাকির ১২ বলে ১৯ ও রনি ১২ বলে ১৭ করে থেমে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। আর কখনই ফিরে আসতে পারেনি। একের পর এক উইকেট পতনের স্রোত আর আটকানো যায়নি। বাঁহাতি পেসে সিলেটকে ধসিয়ে দেন শরিফুল।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago