বিপিএল

শামীমের ঝড়ের পরও চিটাগং থামল ১৪৯ রানে, আলীর ৫ উইকেট

ছবি: স্টার

ষষ্ঠ ওভারে ৩৪ রানে পড়ে গেল ৪ উইকেট। সেই চাপ সামলে শামীম হোসেন পাটোয়ারী তুললেন ঝড়। পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে প্রথমে ৫০ বলে ৭৭ এবং পরে সৈয়দ খালেদ আহমেদকে নিয়ে ২৬ বলে ৩২ রানের জুটি গড়লেন তিনি। উড়তে থাকা শামীমকে থামিয়ে এক ওভারে ৪ উইকেটসহ মোট ৫ উইকেট নিলেন ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলী। ফলে দেড়শর আগে আটকে গেল চিটাগং কিংস।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে আগে ব্যাট করেছে চিটাগং। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা তুলেছে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। দলটির পক্ষে মূলত একাই লড়াই করেন বাঁহাতি ব্যাটার শামীম। ছয়ে নেমে ৭৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৭ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে নয়টি চার ও চারটি ছক্কা।

শিরোপাধারী বরিশালের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা আলী। তিনি চার ওভারে ২৪ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ নিলেন তিনি। আঁটসাঁট থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সতীর্থরা। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইল মেয়ার্স চার ওভারে ২ উইকেট নেন ২৭ রানে। আরেক পেসার ইবাদত হোসেন ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন শিকার করেন একটি করে উইকেট।

ছবি: স্টার

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানি ওপেনার খাওয়াজা নাফায়েকে বোল্ড করে দেন মেয়ার্স। নিজের পরের ওভারে তিনি সাজঘরের পথ দেখান ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ককে। চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে টিকতে দেননি আলী। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে পাকিস্তানি হায়দার আলী ইবাদতের শিকার হলে ভীষণ বিপাকে পড়ে যায় দলটি।

একপ্রান্ত আগলে ছিলেন ওপেনার ইমন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে আলোর দিশা দেওয়ার কাজে নামেন শামীম। এতে রান বাড়তে থাকে দ্রুত। ১৩তম ওভারে স্কোরবোর্ডে একশ ছুঁয়ে ফেলে চিটাগং। পরের ওভারে ভাঙে পঞ্চম উইকেট জুটি। টুকটুক করে এগোতে থাকা ইমন রিশাদকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে থামেন। ৩৬ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় তিনি করেন ৩৬ রান।

বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া শামীম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ২৯ বলে। তিনি একই তালে চলতে থাকায় ১৮ ওভার শেষে চিটাগংয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪৩ রান। এরপর সব আলো কেড়ে নেন বিপিএলে অভিষেক ম্যাচে মাঠে নামা আলী। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই খালেদকে বোল্ড করে দেন তিনি। ধুঁকতে থাকা খালেদ ১ রান করেন ৮ বলে। এক বল পর শামীমের লড়াই থামে বড় শট খেলার চেষ্টায় ইবাদতের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দুই বলে আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলামকে আউট করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন আলী।

শেষ দুই ওভারে স্রেফ ৬ রান যোগ করতে পারে চিটাগং। বোলিংয়ের শুরুর মতো শেষটাও দারুণ হয় বরিশালের। এই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দলের মিলবে আরেকটি সুযোগ। আগামী বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা মোকাবিলা করবে খুলনা টাইগার্সকে।

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

7h ago