বিপিএলে খেলোয়াড় ধরে রাখার যে নিয়ম চান তামিম

Tamim Iqbal

বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বিসিবির তিন বছরের চুক্তির চক্র এই মৌসুমেই শেষ হয়ে গেছে। আসছে মৌসুমে নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি আহবান করবে বিসিবি। সেখানে কিছু দল থাকবে, কিছু দল বাদ পড়তে পারে। তবে ফ্যানবেইজ ঠিক রাখতে খেলোয়াড় ধরে রাখা একটা ধারাবাহিক নিয়ম চান তামিম ইকবাল।

বিপিএলের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশাল। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। চার আসরের মধ্যে ফাইনাল খেলেছে তিনবার। বরিশাল গত দুই আসর কিছু নির্দিষ্ট খেলোয়াড় নিয়ে খেলছে, এতে করে একটা আলাদা কোর গ্রুপ তৈরি হয়েছে তাদের।

বিসিবির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে নিশ্চিতভাবেই থাকার কথা তাদের। তবে নতুন চুক্তির পর খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম কেমন হবে তা চূড়ান্ত নয়। তাতে বদলে যেতে পারে দলের আদল। তামিম চান ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বদল হলেও দলের নামের ভিত্তিতে খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম করা হোক,  'এত কষ্ট করে একটা ফ্যানবেইজ তৈরি করেছি আমরা। প্রথম বিপিএল থেকে সবাই চায় যে, সব ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা ফ্যানবেইজ হোক। আইপিএলের উদাহরণ দেই আমরা। সেখানে নিয়ম কখনও পরিবর্তন হয় না। তাই মূল ক্রিকেটাররা একই দলে থেকে যায়। (বিপিএলে) তিন বছরের একটা চক্র শেষ হয়েছে। পাঁচ বছরের চক্র আসবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তাদের মূল ক্রিকেটারদের ধরে রাখার একটা সুযোগ দেওয়া উচিত।'

বিপিএলের আসন্ন চক্রে কেবল একজন ধরে রাখার নিয়ম চালু হলে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয়ের মধ্যে অন্তত তিনজনকে হাতছাড়া করতে হবে বরিশালকে।  তামিম চান কমপক্ষে চারজন ধরে রাখার নিয়ম হোক, 'আপনি যদি মাত্র একজনকে ধরে রাখেন তাহলে তো এত দিন ধরে যে (ফ্যানবেজ) গড়েছেন, সব শেষ হয়ে যাবে। তাই যদি ৫টা, ৬টা বা ৪টা... কমপক্ষে ৪ জন ধরে রাখার সুযোগ যদি দেয়, তাহলে ফ্যানবেইজ যে তৈরি হয়েছে, তা আরও বড় হবে। ক্রিকেটাররাও ওই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। তাই আমি আশা করি, যখনই পরের আসরের নিয়মকানুন করবেন উনারা (বিসিবি), এই জিনিসটা যেন মাথায় রাখেন।'

এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা বদল হলেও যেন খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম বহাল থাকে,  'এখন যেটা সমস্যা হয়, মালিকপক্ষ বদলে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চিটাগাং এবার এক মালিক, পরের বছর আরেক মালিক। কিন্তু এটাতেও দল তো একই থাকছে, ক্রিকেটাররা একই থাকছে। তাই মালিক পরিবর্তন হোক বা না হোক, অন্য কেউ আসুক বা না আসুক, কেউ যদি চিটাগংয়ের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে, তাহলে তাকে একই স্কোয়াডে ধরে রাখার অনুমতিটা রাখা উচিত।'

'তাদের যদি ইচ্ছে হয় যে ধরে রাখবে না, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। শুধু মালিক বদলে যাওয়ার কারণে অন্য দলগুলো ভুগবে, এটা ঠিক নয়। তাই আমার মনে হয়, অন্তত যদি ৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ যদি দেয়, তাহলে এই ধরনের ফ্যানবেজ, আপনারা যা দেখছেন, এটা আরও বড় হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago