ঢাকা প্রিমিয়ার লিগই মালানকে শিখিয়েছে এমন ব্যাটিং

ইংল্যান্ডের হয়ে বাংলাদেশের মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন দাবিদ মালান। তবে এই প্রথম মানেই কিন্তু তার প্রথম না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২৪ ও বিপিএলে ২৮ ম্যাচ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ৫২ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল তার।
Dawid Malan
দারুন সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হতাশায় পুড়ান দাবিদ মালান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইংল্যান্ডের হয়ে বাংলাদেশের মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন দাবিদ মালান, হলেন দলের ম্যাচ জেতানোর নায়ক। তবে এই প্রথম মানেই কিন্তু তার প্রথম না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২৪ ও বিপিএলে ২৮ ম্যাচ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ৫২ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল তার। ব্যাটসম্যানদের জন্য এখানকার চ্যালেঞ্জিং উইকেটে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়, কীভাবে ইনিংস গড়ে খেলা টানতে হয় সেসব সেসব অভিজ্ঞতা তার হয়েছে মূলত প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির পর তাই পেছনে ফিরে গেলেন বাঁহাতি ব্যাটার।

দশ বছর আগে ২০১৩ সালে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আসেন মালান। সেবার ৮ ম্যাচ খেলে ৬৭.৬৬ গড় আর ৮৮.৬৪ স্ট্রাইকরেটে করেন ৪০৬ রান। পরের মৌসুমেও তাকে নিয়ে আসে দোলেশ্বর। ১৬ ম্যাচ খেলে ৪৯.৬০ গড়ে করেন ৪৯৬ রান। সব মিলিয়ে এই দেশের লিস্ট-এ সংস্করণের সবচেয়ে বড় আসরে ২৪ ম্যাচ খেলেছেন। ৫৬.৭ গড়ে করেন ৯০২ রান।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অভিজ্ঞতার ছাপই যেন রাখলেন তিনি। ২১০ রানের লক্ষ্যে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা ইংল্যান্ডকে টানলেন দারুণভাবে। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ১৪৫ বলে অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়ে ছাড়লেন মাঠ।

পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানান, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা তার আজকের এই অর্জনে রেখেছে বিশাল ভূমিকা।   'ওয়াইজ শাহ আমাকে মেসেজ করেছিল যে রবি বোপারা প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে কয়েকটা ৫০ ওভারের ম্যাচের কথাবার্তার মধ্যে আছে। ওদের (প্রাইম দোলেশ্বর) হয়ে দারুণ দুই মৌসুম খেলেছি। এটা আমার খেলাকে দারুণ সহায়তা করেছে। ইংল্যান্ডে আপনি অনেক স্কয়ারে খেলতে পারেন। এখানে দিনের বেলায় উইকেট স্কিডি থাকে। খেলা আগাতে কিছুটা ভাল হয় আবার সন্ধ্যায় অনেক মন্থর হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের চেয়ে এখনে ভিন্ন উপায়ে আমি স্পিন খেলি। এটা (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) আমার খেলাকে বিশালভাবে সাহায্য করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে খেলারও আগে। এটা বিশাল সাহায্য ছিল।'

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পরও বাংলাদেশে প্রচুর অভিজ্ঞতা নিয়েছেন বিপিএল থেকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি  টি-টোয়েন্টি আসরটিতে খেলেছেন চার দফায়। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, বরিশাল বুলস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে তাকে ঝলক দেখাতে দেখা গেছে। বিপিএলে ২৮ ম্যাচের ২৭টিই আবার খেলেছেন মিরপুরে। মিরপুর তাই মালানের কাছে অনেকটা হাতের তালুর মতো চেনা।

এখানে খেলার ফরমুলা তাই মুখস্ত মালানের,  'যত ভিন্ন কন্ডিশনে খেলবেন আপনার খেলাটা তত প্রসারিত হবে। ভিন্ন কন্ডিশনে দারুণ শেখার মঞ্চ। আমার এখানে কিছু অভিজ্ঞতা ছিল। এটা শুরু করার জন্য খুব সহজ উইকেট না। মেথডের উপর আস্থা রেখে কঠিন সময় পার করতে হবে। তারপর শেষ পর্যন্ত থেকে লাভটা বের করতে  হবে। বিশেষ করে যখন আপনি থিতু হয়ে যান।'

Comments