শেষ ৫ ওভারে রান তোলার ঘাটতি ভোগাবে বাংলাদেশকে?

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৪৬ রান করল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ থেকে পঞ্চদশ ওভারে রান তোলার গতি আরও বাড়ল। নয় ওভারে ১ উইকেট খুইয়ে এলো ৮৫ রান। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে ভীষণ ভুগল সাকিব আল হাসানের দল। আরেকটি উইকেট হারিয়ে যোগ করতে পারল কেবল ২৭ রান।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করেছে স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাকিব আল হাসানের দল স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ২ উইকেটে ১৫৮ রান। 

লিটন দাস ও রনি তালুকদার গড়েন দারুণ একটি উদ্বোধনী জুটি। রনি ফিরলেও লিটন খেলতে থাকেন দাপটের সঙ্গে। ক্রিজে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তও আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিলে তরতর করে বাড়তে থাকে বাংলাদেশের রান। পাওয়ার প্লেতে ওভারপ্রতি আটের কাছাকাছি ছিল রানের গড়। ১৫ ওভার শেষে তা বেড়ে প্রায় পৌনে নয়ে উঠে যায়।

লিটন ফিফটি পেয়ে গিয়েছিলেন। ছন্দে থাকা শান্তও থিতু হয়ে পড়েছিলেন। উইকেট হাতে ছিল নয়টি। কিন্তু শেষদিকে কাঙ্ক্ষিত ঝড় তুলতে পারেনি চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। ফলে এক পর্যায়ে ১৮০ কিংবা এর বেশি রানের সম্ভাবনা জাগলেও শেষ পর্যন্ত ১৬০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ।

স্যাম কারানের করা ১৬তম ওভারে আসে ৫ রান। পরের ওভারে লিটনের উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মাত্র ৩ রান দেন ক্রিস জর্ডান। এরপর জোফরা আর্চারের ওভার থেকে ৫ রান নিতে পারে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আক্রমণে ফিরে ১৯তম ওভারে ১০ রান দেন জর্ডান। শেষ ৫ ওভারের মধ্যে কেবল ওই ওভারেই আসে বাউন্ডারি। সেটা মারেন শান্ত। কিন্তু শেষ ওভারে কারানের কাছ থেকে ৪ রানের বেশি নিতে পারেনি স্বাগতিকরা।

লিটন ৫৭ বলে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ চার ও ১ ছক্কা। রনি ৩ চারে ২২ বলে করেন ২৪ রান। শান্ত অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৪৭ রান। তিনি মারেন ১ চার ও ২ ছক্কা। অধিনায়ক সাকিব ৬ বলে অপরাজিত ৪ রান করেন।

অনেক ম্যাচেই হারের পর ২০-৩০ রানের ঘাটতির কথা বলে থাকেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এই ম্যাচেও কি তেমন কিছু ঘটবে? শেষদিকে রান তোলার ঘাটতি ভোগাবে? নাকি বোলাররা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফের অসাধারণ নৈপুণ্য উপহার দেবেন যেন বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করতে পারে ইংল্যান্ডকে? থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়।

Comments

The Daily Star  | English

March revenue growth nears 10%, but no cause for cheer

NBR still needs Tk 65,000cr per month to hit IMF target for FY25

10h ago