ভারতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দুবাইর মাঠ বলেই প্রেরণা পাচ্ছে পাকিস্তান

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়া অবস্থায় স্বাগতিক পাকিস্তানের। টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারাতেই হবে তাদের। পেসার হারিস রউফ মনে করছেন এই বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দুবাইরের মাঠের সাম্প্রতিক ইতিহাস প্রেরণা দিবে তাদের।
দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই ম্যাচে জয়ী দলের নাম পাকিস্তান। যদিও সেটা ভিন্ন সংস্করণ। টি-টোয়েন্টিতে ২০২১ সালের অক্টোবরে এবং ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতকে হারিয়েছিল তারা।
দুটি ম্যাচের মধ্যে একটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি লিগ ফিক্সচার, যেখানে পাকিস্তান ১০ উইকেটে জিতেছিল এবং দ্বিতীয়টি ছিল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের একটি প্রতিযোগিতা, যেখানে মোহাম্মদ রিজওয়ানরা পাঁচ উইকেটে বিজয়ী হয়েছিল।
রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচেও এই মাঠে ভারতের সামনে পড়বে তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় আইসিসি একাডেমিতে দলের অনুশীলন সেশনের আগে গণমাধ্যমে পাকিস্তানের পেসার হারিস সেই দুই ম্যাচের প্রসঙ্গই টেনে আনলেন, 'আমরা দুবাইতে ভারতকে দুবার হারিয়েছি। আমরা এটিকে তিনবার করতে এবং সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে চাই। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং এটি একটি দুর্দান্ত ম্যাচ হবে।'
করাচিতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে স্রেফ উড়ে যায় পাকিস্তান। ওই ম্যাচে দলটির খেলার ধরণ নিয়েও উঠে প্রশ্ন। সেই ধাক্কা সামলে আগামীতে থাকাতে চায় তাদের দল, জানান হারিস, 'যা অতীত তা অতীত। আমরা এখন ভারত ম্যাচের দিকে মনোনিবেশ করছি। আগের ম্যাচে আমরা যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো সংশোধন করব এবং সেগুলো পুনরাবৃত্তি না করার চেষ্টা করব। আমাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ; একটি বাঁচা-মরার ম্যাচ। সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পেতে আমাদের এটি জিততে হবে।'
রউফ পাকিস্তান দলের অন্যতম প্রধান বোলার এবং সিনিয়র সদস্য। তিনি মনে করেন, বাঁচা-মরার ম্যাচের আগে দলের মনোবল আছে চাঙ্গা, 'মনোবল কম নয়; সব ছেলেরা কঠোর চেষ্টা করবে এবং তাদের সেরাটা দেবে। আমরা সব বিভাগে - ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে ভালো পারফর্ম করার লক্ষ্য রাখব।'
কোণঠাসা অবস্থায় এমন কঠিন ম্যাচের আগে পাকিস্তান নির্ভার আছে বলেও জানালেন হারিস, 'কোন অতিরিক্ত চাপ নেই; আমরা স্বস্তিতে আছি। আমরা এটিকে অন্য একটি সাধারণ ম্যাচ হিসেবে দেখব।'
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হারিস নিজেও ভালো করেননি। ১০ ওভারে তিনি দিয়েছিলেন ৮৩ রান। এতে পড়েন সমালোচনায়। তার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেকরা। এর জবাবে তিনি বললেন, 'আমার ফিটনেস সম্পর্কে আমি কী বলব? আপনি তো আগের ম্যাচটি দেখেছেন - আমি পুরো ১০ ওভার বোলিং করেছি।'
Comments