৩০০ বলের মধ্যে ১৮১টি ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত

৩০০ বলের খেলায় ১৮১ বলই যদি ডট হয়, অর্থাৎ ৩০ ওভারের বেশি যদি কোন রান না আসে তাহলে আর বাকি থাকলটা কি? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার বাংলাদেশ খেলেছে এমন ঘরানার ক্রিকেট। একের পর এক ডট বলে বাংলাদেশ ওয়ানডে নিয়ে গিয়েছিল নব্বুই দশকের নস্টালজিয়ায়।
অবশ্য শুধু এই ম্যাচেই নয়, ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও ১৫৯টি ডট বল খেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৬০০ বলের ৩৪০টি থেকে কোন রান নেওয়ার পথে হাঁটেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ায় সময় নেওয়া যৌক্তিক ছিলো, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই অ্যাপ্রোচ ভীষণ দৃষ্টিকটু।
এবারও অবশ্য নিয়মিত উইকেট হারানোকেই দায় দিলেন শান্ত, 'এই জায়গায় তো অবশ্যই উন্নতির জায়গা আছে। দেখুন, আমরা নিয়মিত তিনশ করি না। এটা সত্যি। মেনে নিতেই হবে। আজকের যদি আপনি ডট বলের কথা বলেন, আমরা ৫ ওভার, ১০ ওভার পরপরই একটা করে উইকেট হারিয়েছি। ওই জায়গায় ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই কঠিন যে কীভাবে স্ট্রাইক রোটেট করব। একটা-দুইটা বড় জুটি হলে এই ব্যাপারটা হতো না।'
টস হেরে এদিন শুরুটা ভালো ছিলো বাংলাদেশের। নবম ওভারে তানজিদ হাসান তামিম যখন ২৪ বলে ২৪ করে আউট হন তখন দলের সংগ্রহ ৪৫। প্রথম পাওয়ার প্লের পরও ডট বলের হার আরও বেড়ে যায়। অধিনায়ক শান্ত ওপেন করতে নেমে খেলেছেন ৩৮ ওভার পর্যন্ত। ক্রমাগত ডট বলের চাপ তিনিই বাড়িয়েছেন বেশি। ৭৭ রান করতে তিনি লাগিয়েছেন ১১০ বল। তাওহিদ হৃদয় যখন ধুঁকছিলেন, আরেক পাশে দ্রুত রান বাড়ানোর তাড়না দেখা যায়নি শান্তর ভেতর।
ফলে বাংলাদেশের গোটা ইনিংস চলেছে স্লো-মোশনে। শান্তর মতে নিয়মিত তিনশো করার অভ্যাস না থাকার ঘাটতিতে ধুঁকছেন তারা, 'এই অভ্যাসটা তৈরি করা জরুরি যে, নিয়মিত আমরা কীভাবে তিনশ করতে পারি। আমরা হয়তো একদিন-দুদিন তিনশ করি। এখান থেকে বের হওয়ার জন্য অনুশীলনে বলেন, নিয়মিত কীভাবে ভালো উইকেটে খেলা যায়, নিয়মিত বড় দলের বিপক্ষে এই ধরনের স্কোর গড়া যায়, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আজকের ম্যাচে ডট বল হওয়ার কারণ, আমরা মাঝের ওভারগুলোয় কিছুক্ষণ পরপরই উইকেট দিয়ে দিয়েছি।'
Comments