ইংল্যান্ডকে জয়শূন্য রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্রোটিয়ারা

প্রথম ইনিংসের পরই সেমিফাইনালে নাম লেখা হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৮০ রানের লক্ষ্য এরপর হেসেখেলে তাড়া করেন প্রোটিয়ারা। তাদের ৭ উইকেটের জয় আসে ১২৫ বল বাকি থাকতে।
শনিবার করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের অধিনায়কত্বের শেষ দিনে ৩৮.২ ওভার খেলে ১৭৯ রানে অলআউট হয় দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রাসি ফন দার ডুসেন অপরাজিত থাকেন ৮৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে। ডানহাতি এই ব্যাটার ৬ চারের সঙ্গে মারেন ৩ ছক্কা। হেইনরিখ ক্লাসেন ৫৬ বলে ১১ চারে করেন ৬৪ রান। জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে আউট হন বিধ্বংসী এই ব্যাটার৷
'বি' গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে পা রাখছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচে প্রোটিয়াদের অর্জন ৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে তিন ম্যাচ খেলে কোন জয় না পেয়ে বিদায় নিচ্ছে ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোন আসরে অন্তত তিন ম্যাচ খেলে ইংলিশদের জয়শূন্য থাকার ঘটনা এটিই প্রথম।
এদিন অসুস্থতার কারণে টনি ডি জর্জি ও টেম্বা বাভুমাকে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এইডেন মার্করাম। এই ম্যাচে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক নামেননি ওপেনিংয়ে। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা ট্রিস্টান স্টাবসের অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তৃতীয় ওভারে জোফরা আর্চারের বল স্টাম্পে ডেকে এনে ফিরে যান শূন্য রানে।
আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটন স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে যান। কিন্তু বাঁহাতি এই ব্যাটার ২৭ রানে আউট হন। আর্চারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৫ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৫টি চার।
৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে অঘটনের অবকাশ আর রাখেনি তারা। তিনে নামা রাসি ফন দার ডুসেন মন্থর গতিতে খেললেও হেইনরিখ ক্লাসেন এগিয়ে যান তরতর করে। ১৮.৪ ওভারে শতরান পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিছুক্ষণ পর ৪১ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ক্লাসেন।
ডুসেনের ফিফটি পেতে লেগে যায় ৭২ বল। তবে ২৫তম ওভারেই দেড়শ রান ছাড়িয়ে জয়ের কাছে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিফটির পর আগ্রাসন দেখান ডুসেন। তবে আদিল রশিদের বলে ক্লাসেন আউট হয়ে গেলে ভেঙে যায় ১২২ বলে ১২৭ রানের জুটি। ডেভিড মিলার এসে যদিও ২ বলে ৭ রান খেল খতম করেন দ্রুত। নিজের অধিনায়কত্ব অধ্যায়ের শেষ সাত ম্যাচে সাতটি হার নিয়ে বিদায় নেন বাটলার।
Comments