স্কটের সাহসিকতায় নেদারল্যান্ডসের লড়াকু সংগ্রহ

১৪০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিপদে দল। দলের হাল ধরতে এগিয়ে এলেন খোদ অধিনায়কই। খেললেন ৬৯ বলে ৭৮ রানের ইনিংস, অধিনায়কোচিত ইনিংস যাকে বলে! সঙ্গে ফন ডার মারওয়ে ও আরিয়ান দত্ত খেলেন ঝড়ো ক্যামিও। ধর্মশালায় ধুঁকতে থাকা নেদারল্যান্ডস পায় ২৪৫ রানের লড়াকু পুঁজি।
বৃষ্টি বাগড়ায় টস হয়েছে আধাঘণ্টা পর। টসে জিতে বোলিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাঠে নামতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ঘণ্টাদেড়েক। নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া খেলা নেমে আসে ৪৩ ওভারে। মেঘলা আকাশের নিচে মুভমেন্ট পেয়ে পরে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা জ্বলে উঠেছেন। চেনা ছন্দে থাকেননি যদিও লুঙ্গি এনগিদি, তার বাইরের বলে অফসাইডে দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি চার মারেন ম্যাক্স ও'ডাউড। তবে সুইংময় কন্ডিশনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দুই ওপেনার।
সপ্তম ওভারে বিক্রমজিত সিং ১৬ বলে ২ রান করে রাবাদার বলে ক্লাসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান। পরের ওভারেই কিপারে ক্যাচ বানিয়ে ও'ডাউডকেও ফিরিয়ে দেন মার্কো ইয়ানসেন। চারটি চারে ১৮ রানের ইনিংসেই থেমে যেতে হয় তাকে। নয় ওভারের প্রথম পাওয়ারপ্লেতে আর কোন উইকেট না হারিয়ে নেদারল্যান্ডস তুলে ২৮ রান। তবে কিছুক্ষণ পরই তাদের ইনফর্ম ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রাবাদা। বাস ডি লিড ২ রানে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান রাবাদার ভেতরে আসা বলে। ৫ ওভারে ১৮ রানে দুই উইকেট নিয়ে নিজের স্পেল শেষ করেন রাবাদা।
অপরপ্রান্তে আসা জেরাল্ড কোয়েটজের বল স্টাম্পে ডেকে এনে কলিন অ্যাকারম্যানও আউট হয়ে যান ১২ রান করে। ৫০ রানেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলে ডাচরা। নিদামানুরু-এঙ্গেলব্রেখট জুটিতে তাদের ব্যাটিংয়ে এরপর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে। তবে ১৯ রানে এঙ্গেলব্রেখট এনগিদির বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন, জুটিটা ৩২ রানের বড় হয়নি তাই।
ডাচ ব্যাটারদের মধ্যে নিদামানুরু আত্মবিশ্বাসে খেলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার ইনিংসটাও দীর্ঘায়িত হয়নি। ৫ ওভারে ১৩ রানের দুর্দান্ত প্রথম স্পেলের পর ফিরে আসেন ইয়ানসেন, নিদামানুরুকে ২০ রানে ফিরিয়ে দেন ইয়র্কারে এলবিডাব্লিউ বানিয়ে। ১১২ রানেই ষষ্ট উইকেট খুইয়ে ফেলা ডাচদের তরী এগিয়ে নিতে অধিনায়কই শেষ ভরসা তখন। ২৮ রানের জুটিতে সঙ্গ দিয়ে লগান ফন বিকও আউট হয়ে যান। এরপর ভ্যান দার মারওয়ে এসে যেন প্রাণ সঞ্চার করেন ডাচ ইনিংসে। তিন চার ও এক ছয়ে ১৯ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে যখন ফিরছেন, ৬৪ রানের জুটিতে নেদারল্যান্ডস পেরিয়ে গেছে দুইশ।
একপাশে দলকে আগলে রাখা এডওয়ার্ডস ৫৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন। মাহরাজের স্পিনে দারুণ সুইপে ৫টি চার মারেন। শেষে এসে পেসারদের বিপক্ষেও গিয়ার পাল্টে সিঙ্গেলের পাশাপাশি নিয়মিত বাউন্ডারি বের করেছেন। ৬৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন এডওয়ার্ডস। আরিয়ান দত্ত তিন স্লোয়ারে তিনটি ছক্কা মেরে ৯ বলে ২৩ রানের ক্যামিও খেলে যোগ্য সঙ্গ দেন। শেষ পাঁচ ওভারে ৬৪ রান এনে ২৪৫ রানের পুঁজিতে ম্যাচে প্রাণ ফিরে পায় নেদারল্যান্ডস।
Comments