মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড সেঞ্চুরির পরও হেরে তলানিতে বাংলাদেশ
একপেশে ম্যাচে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ হারের দেখা পেল সাকিব আল হাসানের দল। বিবর্ণ ব্যাটিং-বোলিংয়ে মঙ্গলবার মুম্বাইতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তারা বিধ্বস্ত হলো ১৪৯ রানে। এই বড় ব্যবধান আরও বড় হতে পারত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লড়াই না করলে। ছয়ে নেমে রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তিনি খেললেন ১১১ রানের ইনিংস।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৫ উইকেটে ৩৮২ রান। জবাবে ২০ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৩৩ রানে।
বাংলাদেশের হার অবশ্য অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে যায়। লক্ষ্য তাড়ায় ১৫ ওভারের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম পাঁচ জন। তখন স্কোরবোর্ডে দলের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৫৮ রান। এরপর তা দুইশ ছাড়ায় একাই লড়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহর দুটি কীর্তির বদৌলতে। শেষদিকে তার সেঞ্চুরি হবে কিনা তা নিয়েই কিছুটা রোমাঞ্চ ছড়ায়।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনটি সেঞ্চুরি হলো মাহমুদউল্লাহর। আগের দুটি তিনি করেছিলেন ২০১৫ সালের আসরে। একাধিক বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড়ও তিনি। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। বাকিটি করেছিলেন ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
এই হারে নেট রান রেটের হিসাবে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে নেমে গেছে বাংলাদেশ। তাদেরকে টপকে নয়ে উঠেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সাকিবদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা যে প্রায় শেষ, তা আর না বললেও চলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৬.৪ ওভারে ২৩৩ (তানজিদ ১২, লিটন ২২, শান্ত ০, সাকিব ১, মুশফিকুর ৮, মাহমুদউল্লাহ ১১১, মিরাজ ১১, নাসুম ১৯, হাসান ১৫, মোস্তাফিজুর ১১, শরিফুল ৬; ইয়ানসেন ২/৩৯, উইলিয়ামস ২/৫৬, কোয়েটজি ৩/৬২, রাবাদা ২/৪২, মহারাজ ১/৩২)।
শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস
লিজাড উইলিয়ামসের বলে টপ এজ হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অনেক উঁচুতে ওঠা বল নির্ভরতার সঙ্গে লুফে নিলেন ডেভিড মিলার। সঙ্গে সঙ্গে থামল বাংলাদেশের ইনিংস। নিশ্চিত হলো হার। মোস্তাফিজ আউট হলেন ২১ বলে ১১ রানে। ৪ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকলেন শরিফুল ইসলাম।
মাহমুদউল্লাহকে ফেরাতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা
সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকল না অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লড়াই। জেরাল্ড কোয়েটজির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অফে মার্কো ইয়ানসেনের তালুবন্দি হলেন তিনি।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মাঝে ১১১ বলে ১১১ রান করলেন মাহমুদউল্লাহ। তার ইনিংসে ছিল ১৩ চার ও ৪ ছক্কা। দ্বাদশ ওভারে মাঠে নামার পর লম্বা সময় কাটিয়ে তিনি ফিরলেন ৪৬তম ওভারে।
সাজঘরে ফেরার আগে নবম উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ৫৬ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়লেন মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপে নবম উইকেটে এটি এখন বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। আগের সর্বোচ্চ জুটিতেও ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে তার সঙ্গে শফিউল ইসলামের জুটি ছিল অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের।
বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড তৃতীয় সেঞ্চুরি
২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি তার রেকর্ড তৃতীয় শতক। দুটি সেঞ্চুরি আছে সাকিব আল হাসানের, একটি মুশফিকুর রহিমের। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের আর কারও নেই শতরান।
সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে দাঁড়িয়ে এবারের সেঞ্চুরি করতে মাহমুদউল্লাহর লাগল ১০৪ বল। তার অনবদ্য ইনিংসে চার দশটি ও ছয় তিনটি। একাধিক বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড়ও তিনি। যদিও তিনি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকবেন কিনা তা ছিল অনিশ্চয়তা।
কাগিসো রাবাদার করা ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বল ফাইন লেগে ঠেলে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে গেলেন। যদিও বাংলাদেশের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই, তবে মাইলফলক স্পর্শের পর তার উদযাপন ছিল বুনো।
ফের বেঁচে গেলেন মাহমুদউল্লাহ
ব্যক্তিগত ৮৭ রানে আবার বেঁচে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। জেরাল্ড কোয়েটজির ফুল টস ডেলিভারিটি ছিল কোমরের অনেক ওপরে। মাহমুদউল্লাহ পুল করার পর ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ হলেও আম্পায়ার দিলেন নো বলের সংকেত।
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ২০০। মাহমুদউল্লাহ ৯২ বলে ৮৮ রানে ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন ১৫ বলে ৯ রানে।
জীবন পেলেন মাহমুদউল্লাহ
ব্যক্তিগত ৭৩ রানে জীবন পেলেন মাহমুদউল্লাহ। মার্কো ইয়ানসেনের বলে মিড অফে দুরূহ ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। তবে পেছনের দিকে অনেকটা দৌড়েও সেটা হাতে জমাতে পারলেন না লিজাড উইলিয়ামস।
৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৮৪ রান। মাহমুদউল্লাহ ৮৫ বলে ৭৪ রানে ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন ৯ বলে ৯ রানে।
হাসানকে ফেরালেন রাবাদা
হাসান মাহমুদের আউটে ভাঙল ৪৯ বলে ৩৭ রানের জুটি। ২৫ বলে ১৫ রান করলেন তিনি। স্লোয়ার বল ওড়ানোর চেষ্টায় মিড অফে দিলেন ক্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা ধরলেন দ্বিতীয় শিকার।
৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৫৯ রান। ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭৪ বলে ৬০ রানে। মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন ২ বলে শূন্য রানে।
হাসানের বিদায়ে হারের আরও কাছে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। ৭৮ বলে তাদের দরকার এখনও ২২৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার চাই মাত্র ২ উইকেট।
সতীর্থদের ব্যর্থতার ভীড়ে মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
ছয় নম্বরে নেমে আবারও প্রতিরোধ গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সতীর্থ ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভীড়ে তিনি তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছাতে তার লাগল ৬৭ বল। তার ব্যাট থেকে চার এসেছে ছয়টি।
গত ডিসেম্বরের পর মাহমুদউল্লাহর এটি প্রথম ফিফটি। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে তার ২৮তম হাফসেঞ্চুরি।
তবে সামনে ৩৮৩ রানের লক্ষ্য থাকায় মাহমুদউল্লাহর ব্যক্তিগত অর্জনে ম্যাচের ফলের হেরফের হচ্ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের অপেক্ষাই কেবল বাড়াতে পারছেন তিনি।
রেকর্ড হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই। ২০১১ সালের আসরে মিরপুরে ২০৬ রানে হেরেছিল তারা। আর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হারের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ২০০০ সালে ঢাকায় ২৩৩ রানে পরাস্ত হয়েছিল তারা।
নাসুমের বিদায়ে ভাঙল ৪১ রানের জুটি
জেরাল্ড কোয়েটজিকে টানা দুটি চার মারার পর অক্কা! দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের শর্ট বলে টপ এজ হয়ে ফিরতি ক্যাচ দিলেন নাসুম আহমেদ। ১৯ বলে ৩ চারে তার রান ১৯।
নাসুমের বিদায়ে ভাঙল ৩৯ বলে ৪১ রানের সপ্তম উইকেট জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২৩ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫০ বলে ৩৯ ও হাসান মাহমুদ ৩ বলে ১ রানে খেলছেন। বাকি ২১ ওভারে টাইগারদের চাই আরও ২৬০ রান।
বাংলাদেশের একশ
১৪তম ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ স্পর্শ করেছিল পঞ্চাশ। এরপর ২৭তম ওভারে পূরণ হলো দলীয় একশ।
কুইন্টন ডি ককের স্কোরই এখন অনেক দূরের পথ বাংলাদেশের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি ওপেনার খেলেন ১৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।
বাংলাদেশের সামনে ভীষণ কঠিন পথ
২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৯৬। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৯ ও নাসুম আহমেদ ৩ রানে খেলছেন। জয়ের জন্য ২৪ ওভারে আরও ২৮৭ রান দরকার টাইগারদের। হাতে রয়েছে মাত্র ৪ উইকেট।
ম্যাচের পরিস্থিতি অনুসারে, এই সমীকরণ মেলানো বাংলাদেশের জন্য অসম্ভবই। এমনকি ওয়ানডেতে রানের হিসাবে রেকর্ড ব্যবধানে হারের শঙ্কায় রয়েছে তারা।
মহারাজেরই শিকার মিরাজ
কেশব মহারাজের বলে রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ শেষমেশ তারই শিকার হলেন। বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লগ সুইপে বড় শট মারার চেষ্টায় ধরা পড়লেন সীমানার কাছে। ১৯ বলে ১১ রান করা মিরাজের ক্যাচ নিলেন বদলি আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো।
ষষ্ঠ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের। বাকি রইল আর ৪ উইকেট। ২২ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৮১ রান। ক্রিজে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী হলেন নাসুম আহমেদ।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রিপ্লেতে দেখা যায়, কেশব মহারাজের বলটি লেগ স্টাম্পের সামান্য বাইরে পিচ করেছিল। মিরাজ তখন ৫ রানে ছিলেন।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ রান ৫ উইকেটে ৭২। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ ২৪ বলে ১৫ ও মিরাজ ১৩ বলে ৬ রানে ব্যাট করছেন।
এলবিডব্লিউ হয়ে থামলেন লিটন
কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লেন লিটন দাস। অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিটি লিটনের প্যাডে লাগার পর প্রোটিয়াদের আবেদনে সাড়া দিতে দেরি করলেন না আম্পায়ার। এরপর রিভিউ নেওয়া হলেও তা স্রেফ নষ্টই হলো।
ওপেনিংয়ে নামা লিটন থামলেন ২২ রানে। ৪৪ বলের ইনিংসে ৩ চার ও ১ ছক্কা মারলেন তিনি। পঞ্চদশ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ পড়েছে মহাবিপাকে। বাকি ৩৫ ওভারে জয়ের জন্য ৫ উইকেট হাতে নিয়ে তাদের চাই আরও ৩২৫ রান। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের পর আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটার নেই বাংলাদেশের লাইনআপে।
ছক্কার চেষ্টায় আউট মুশফিক
৩১ রানে ৩ উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশের দরকার ছিল ভালো একটি জুটি। কিন্তু লিটন দাসের সঙ্গে মিলে তা করতে ব্যর্থ হলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ তারকা আউট হলেন ছক্কা মারার চেষ্টায়।
জেরাল্ড কোয়েটজির অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথের ডেলিভারিটি সজোরে হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল সরাসরি চলে গেল থার্ড ম্যানে থাকা বদলি ফিল্ডার আন্দিল ফেলুকওয়ায়োর হাতে। উইকেট পেয়ে পেসার কোয়েটজির উদযাপন হলো দেখার মতো!
১৭ বলে ১ চারে ৮ রান করলেন মুশফিক। ৪১ রানে বাংলাদেশ হারাল ৪ উইকেট। ১২ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৪৬/৪। ক্রিজে লিটন দাস ৩২ বলে ১৪ রানে খেলছেন। তার সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ ১ বলে ৪ রানে।
টিকলেন না সাকিবও
৮ বলের মধ্যে নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট! চোট কাটিয়ে একাদশে ফেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হতে পারলেন না। বরং তিনি সাজঘরে ফেরায় বিপদ আরও বাড়ল।
পেসার লিজাড উইলিয়ামসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হলেন সাকিব। ব্যাটের কানায় লেগে তা চলে গেল প্রথম স্লিপের দিকে। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন হেইনরিখ ক্লাসেন। ফিল্ডিংয়ে না থাকা কুইন্টন ডি ককের জায়গায় উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব বুঝে পেয়ে ম্যাচে তৃতীয় ক্যাচ নিলেন তিনি।
৪ বলে সাকিবের রান ১। অষ্টম ওভার শেষে বাংলাদেশ রয়েছে ভীষণ চাপে। তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২ রান। ক্রিজে ২৫ বলে ১২ রান করা লিটন দাসের সঙ্গী অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম খেলছেন ১ বলে ১ রানে।
শান্ত 'গোল্ডেন ডাক'
পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো ইয়ানসেন। প্রথম বলে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের পর দ্বিতীয় বলে তিনি শিকার করলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে।
গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ নিলেন শান্ত। এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম বলেই আউট হলেন তিনি। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন তিনি।
লেগ স্টাম্পে থাকা নির্বিষ প্রকৃতির একটি ডেলিভারি ফ্লিক করেছিলেন শান্ত। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ হলো না ঠিকঠাক। টানা দ্বিতীয় ক্যাচ লুফে নিলেন উইকেটের পেছনে থাকা হেইনরিখ ক্লাসেন।
শান্তর বিদায়ে শুরুতেই বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ। দলীয় ৩০ রানে তারা হারাল ২ উইকেট। সাত ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩১ রানে। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তানজিদের বিদায়ে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের দরকার ছিল শক্ত ভিত। কিন্তু সপ্তম ওভারের প্রথম বলে তানজিদ হাসানের বিদায়ে ভাঙল ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
অন সাইডে থাকা মার্কো ইয়ানসেনের শর্ট ডেলিভারিতে হুক করতে গিয়ে পরাস্ত হলেন তানজিদ হাসান তামিম। তার গ্লাভসে লেগে বল জমা পড়ল উইকেটরক্ষক হেইনরিখ ক্লাসেনের হাতে। ১৭ বলে ১ চারে তানজিদের রান ১২।
ক্রিজে আরেক ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গী হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের সাবধানী শুরু
৩৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় সাবধানী শুরু করল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস খেলছেন দেখেশুনে। ৫ ওভার শেষে টাইগারদের রান বিনা উইকেটে ১৯। তানজিদ ১৩ বলে ৭ ও লিটন ১৭ বলে ৮ রানে ক্রিজে আছেন।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়ার কীর্তি লেখার পাশাপাশি নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের নজির স্থাপন করতে হবে।
বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য দিল দক্ষিণ আফ্রিকা
শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল ৪৪ রান দিয়ে। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার কুইন্টন ডি ককই যত সর্বনাশ করলেন! অধিনায়ক এইডেন মার্করামের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি গড়ার পর হেইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে গড়লেন মাত্র ৮৭ বলে ১৪২ রানের আরও একটি দুর্দান্ত জুটি। তাতেই বড় পুঁজির দিশা পেয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ককের তাণ্ডবের পর ক্লাসেন, ডেভিড মিলাররা গড়ে ফেললেন আকাশছোঁয়া রানের ইমারত। তাতে সামনে বিশাল লক্ষ্যই পেল বাংলাদেশ।
এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে শেষ পর্যন্ত ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। ক্লাসেনও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। শেষ ওভারে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৯০ রান। মার্করাম ৬০ রান করেন ৬৯ বলে। শেষদিকে ১৫ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ক্যামিও খেলেন মিলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৮২/৫ (ডি কক ১৭৪, হেনড্রিকস ১২, ডুসেন ১, মার্করাম ৬০, ক্লাসেন ৯০, মিলার ৩৪*, ইয়ানসেন ১*; মোস্তাফিজ ০/৭৬, ১/৪৪, শরিফুল ১/৭৬, সাকিব ১/৬৯, হাসান ২/৬৭, নাসুম ০/২৭, মাহমুদউল্লাহ ০/২০)।
ক্লাসেনকে ফেরালেন হাসান
আগের বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ক্লাসেন। পরের বলে গিয়েছিলেন আরও একটি মারতে। কিন্তু হাসান মাহমুদের স্লোয়ার বাউন্সারে হাঁকাতে গিয়ে সুইপার কভার সীমানায় ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। ৪৯ বলে ২টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৯০ রানের ইনিংস খেলেন ক্লাসেন।
ক্লাসেন-মিলার জুটির ফিফটি
রীতিমতো ঝড় তুলেছেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ২০ বলে জুটির ফিফটি পূরণ করেছেন এ দুই ব্যাটার। তাতে দ্রুত গতিতেই বাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজি।
৪৯ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান। ক্লাসেন ৮৬ ও মিলার ২৮ রানে ব্যাটিং করছেন।
ডি কককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন হাসান
সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর রীতিমতো রুদ্ররূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। তাতে হুহু করে বাড়ছিল প্রোটিয়াদের দলীয় সংগ্রহ। তবে অবশেষে তাকে ফেরাতে পেরেছে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদের লো ফুলটসে স্লাইস করে বাউন্ডারি আদায় করতে চেয়েছিলেন ডি কক। তবে সীমানায় ধরা পড়েছেন নাসুম আহমেদের হাতে। ১৪০ বলে ১৭৪ রান করেছেন তিনি। এ রান করতে ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছেন এই ওপেনার।
৪৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩১৭ রান। ক্লাসেন ৬০ ও ডেভিড মিলার ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
ক্লাসেনের ফিফটি ও প্রোটিয়াদের দলীয় তিনশ
এক প্রান্তে ঝড় তুলে দলের সংগ্রহ বড় করছিলেন কুইন্টন ডি কক। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে হেনরিখ ক্লাসেনও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তে দ্রুত বাড়ছে প্রোটিয়াদের পুঁজি। এরমধ্যেই দলের তিনশ রানও তুলে নিয়েছে তারা। ২৬৪ বলে দলীয় তিনশ স্পর্শ করে দলটি।
একই সঙ্গে ক্লাসেনও তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ৩৪ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।
৪৪ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩০০ রান। ডি কক ১৬৮ ও ক্লাসেন ৫০ রানে ব্যাটিং করছেন।
ডি কক-ক্লাসেনের জুটির সেঞ্চুরি
হাফসেঞ্চুরির পর জুটির সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক ও হেনরিখ ক্লাসেন। দুই জনই হাত খুলে ব্যাটিং করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন দলের পুঁজি। ৭০ বলে এসেছে তাদের জুটির সেঞ্চুরি। অথচ ৪৩ বলে এ জুটি ফিফটি পূরণ করেছিল।
৪৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৮৩ রান। ডি ককের ১৫৬ ও ক্লাসেন ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।
ডি কক-ক্লাসেনের জুটির ফিফটি
সেঞ্চুরি করে হাত খুলে খেলছেন কুইন্টন ডি কক। তার সঙ্গী হেনরিখ ক্লাসেনও আগ্রাসী ভূমিকায় নেমছেন। এরমধ্যেই তাদের জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ। ৪৫ বলে তুলে নিয়েছেন জুটির ফিফটি।
৩৮ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১৭ রান। ডি ককের ১১১ ও ক্লাসেন ২১ রানে ব্যাট করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুইশ
অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ফিরে গেলে হেনরিক ক্লাসেনের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন ডি কক। এরমধ্যেই দলের ২০০ রান পূরণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৫.৫ ওভার (২১৫ বলে) আসে দলের ডাবল সেঞ্চুরি।
৩৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৩ রান। ডি কক ১০৫ ও ক্লাসেন ২১ রানে ব্যাটিং করছেন।
ডি ককের সেঞ্চুরি
আরও একটি সেঞ্চুরি তুলে নিলেন কুইন্টন ডি কক। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি করলেন এই ওপেনার। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে তিন অঙ্কের দেখা পান তিনি।
এদিন বাংলাদেশের বোলারদের শুরু থেকেই হতাশ করে দারুণ ব্যাটিং করেন এই ওপেনার। ১০১ বলে স্পর্শ করেছেন নিজের সেঞ্চুরি। শতরান তোলার পথে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার।
৩৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৬ রান। ডি কক ১০১ ও ক্লাসেন ১৯ রানে ব্যাটিং করছেন।
মার্করামকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব
অবশেষে তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করামকে ফিরিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। তার বলে উইকেট ছেড়ে এসে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে হাঁকাতে চেয়েছিলেন মার্করাম। কিন্তু এক হাতে নেওয়া শটে টাইমিংয়ে হেরেফের করে লংঅফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ভাঙে ১৩৭ বল স্থায়ী ১৩১ রানের জুটি। ৬৯ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করেন মার্করাম।
৩১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৯ রান। ডি কক ৯২ ও ক্লাসেন ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
মার্করামের ফিফটি ও জুটির সেঞ্চুরি
দলীয় ৩৬ রানে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুইন্টন ডি কক। এরমধ্যেই তৃতীয় উইকেটে একশ রানের জুটি গড়েছেন এ দুই ব্যাটার। ১০৮ বলে আসে এ জুটির সেঞ্চুরি।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বাউন্ডারি মেরে দলের সেঞ্চুরির সঙ্গে ব্যক্তিগত ফিফটিও স্পর্শ করেন মার্করাম। ৫৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
২৬ ওভার শেষে দক্ষন আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪১ রান। ডি কক ৭৫ ও মার্করাম ৫১ রানে ব্যাট করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় সেঞ্চুরি
দলীয় শতক পূরণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২২ বলে দলের সেঞ্চুরি স্পর্শ করে তারা। দলীয় ৩৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
২১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪ রান। ডি কক ৬১ এবং মার্করাম ২৯ রানে ব্যাটিং করছেন।
ডি ককের ফিফটি
হাসান মাহমুদের বলে বাউন্ডারি মেরে নিজের ব্যক্তিগত ফিফ টি তুলে নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। ৪৭ বলে এই ওপেনার স্পর্শ করলেন পঞ্চাশ। একই সঙ্গে এইডেন মার্করামের সঙ্গে তার জুটির ফিফটিও পূরণ হয়েছে। ৫৮ বলে এসেছে তাদের জুটির ফিফটি।
১৮ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯২ রান। ডি কক ৫৪ এবং মার্করাম ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় ফিফটি
পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে অন্যান্য দিনের মতো রানের ফোয়ারা ছোটাতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ১১.৪ ওভারে এসে দলীয় ফিফটি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তুলেছিল দলটি।
১২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫১ রান। ডি কক ২৬ ও মার্করাম ১১ রানে ব্যাট করছেন।
ডুসেনকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় আঘাত মিরাজের
রেজা হেনড্রিকসকে ফেরানোর পরের ওভারেই রাসি ফন ডার ডুসেনকেও আউট করতে পেরেছে বাংলাদেশ। অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের লেগ ও মিডল স্টাম্পের মাঝে রাখা বলে এক্রস দ্য লাইন খেলতে চেয়েছিলেন ডুসেন। বল কিছুটা নিচু হলে লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ব্যাটার। ৭ বলে ১ রান আসে ডুসেনের ব্যাট থেকে।
আট ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৬ রান। ডি কক ২২ ও মার্করাম ০ রানে ব্যাট করছেন।
হেনড্রিকসকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত শরিফুল
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রানার খাতা খোলার আগেই ফিরতে পারতেন রেজা হেনড্রিকস। স্লিপে সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে বড় ক্ষতি করার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ইনসুইং করে ভেরতের দিকে ঢোকা রক্ষণ করতে চেয়েছিলেন হেনড্রিক্স। কিন্তু লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান এই ওপেনার। ১৯ বলে ১২ রান করেন হেনড্রিকস।
সাত ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৫ রান। ডি কক ২১ এবং রাসি ফোন ডুসেন ১ রানে ব্যাট করছেন।
রেজা হেনড্রিকসকে জীবন দিলেন তানজিদ
প্রোটিয়াদের স্পিন দুর্বলতার কথা ভেবে শুরুতেই মেহেদী হাসান মিরাজকে এনেছিলেন সাকিব। তার পরিকল্পনা কাজেও লেগে গিয়েছিল প্রায়। মিরাজের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রেজা হেনড্রিকস। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সে ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো তানজিদ হাসান তামিম। এ সময় রানের খাতাই খুলতে পারেননি হেনড্রিকস।
তিন ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৪ রান। ডি কক ৫ ও হেনড্রিকস ৮ রানে ব্যাট করছেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
টস জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। চোট কাটিয়ে ফিরে এসে প্রথম প্রত্যাশাটা পূরণ হয়নি অধিনায়কের। ফলে আগে ফিল্ডিং করতে হবে তাদের। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
বাংলাদেশের একাদশে ফিরলেন সাকিব, বাদ তাওহিদ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিরছেন তার ইঙ্গিত আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেই দিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা রেখে গিয়েছিলেন তিনি। তবে অবশেষে সব শঙ্কা কাটিয়ে মূল একাদশে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। তাকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ একাদশ:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
আজও প্রোটিয়াদের একাদশে নেই বাভুমা
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক ট্মেবা বাভুমা। বাংলাদেশের বিপক্ষেও ফিরতে পারেননি তিনি। তার পরিবর্তে কয়েন ছুঁড়েছেন মার্করাম। তবে তাদের একাদশে পরিবর্তন রয়েছে একটি। চোট থাকায় বাদ পড়েছেন লুঙ্গি এনগিদি। তার জায়গায় খেলছেন লিজাড উইলিয়ামস।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ:
কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, রাসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), হেইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, কেশব মহারাজ, লিজাড উইলিয়ামস, জেরাল্ড কোয়েটজি, কাগিসো রাবাদা।
বোলারদের দিকে তাকিয়ে সাকিব
বিশ্বকাপে এবার ভারতের প্রায় সব মাঠেই রানের বন্যা বইছে। তার উপর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম যেন একটু বেশিই রান প্রসবা। কদিন আগেই এই মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রায় চারশ (৩৯৯) রানের পুঁজি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাভাবিকভাবে এই মাঠে বেশ চাপে থাকেন বোলাররা। তাই তাদের ভালো করার উপর অনেকটাই নির্ভর করে ম্যাচের ফলাফল।
উড়তে থাকা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাই বোলারদের দায়িত্বই বেশি দেখছেন সাকিব, 'এমন একটা জায়গায় খেলা হচ্ছে যেখানে বোলাররা ভালো না করলে জেতার সম্ভাবনা খুব কম। এমন জায়গা যেখানে বোলাররাই জেতাতে পারে ম্যাচ অনেক সময়। এখানে সেটাই হয়ে থাকে। শেষ ম্যাচে অনেক রান হয়েছে আগে, পরে বোলাররা ভালো করেছে। অবশ্যই আমাদের অনেক ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।'
তবুও সেমির-স্বপ্নে বিভোর সাকিব
প্রথম চার ম্যাচে তিন হার, তিনটাই আবার বড় ব্যবধানে। সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন স্বাভাবিকভাবেই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে অন্যরা খারাপ করায় এখনও ভালো সুযোগ দেখছেন অধিনায়ক সাকিব। বাকি থাকা পাঁচ ম্যাচের অন্তত চারটি জেতার বিকল্প নেই। সেখানেও থাকতে পারে রানরেটের হিসাব।
তবে এখনই আশাহত হতে রাজী নন সাকিব, 'পাঁচ ম্যাচ বাকি রয়েছে। যদি এখানে জিততে পারি তাহলে ভালো মোমেন্টাম আসবে। যদিও আমরা খুব বেশি ম্যাচ জিতিনি। পয়েন্ট টেবিল দেখলে মনে হবে না আমরা খুব বেশি বাজে অবস্থায় আছি সত্যি কথা (হাসি)। অন্যান্য দল আমাদের সাহায্য করছে। এখন আমাদের দায়িত্ব আমাদের নিজেদের সাহায্য করা।'
তাসকিনকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ
ভারতের বিপক্ষে খেলেননি তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচেও পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। বোলিংয়ের সময় ডান কাঁধে অস্বস্তি অনুভব করছেন এই পেসার। তাকে না পাওয়ার বিষয়টি ম্যাচের আগের দিন নিশ্চিত করে অধিনায়ক সাকিব বলেন, 'তাসকিন আগামীকালকের (আজ) ম্যাচ খেলতে পারছে না। এই ম্যাচের পর থেকে সে খেলতে পারবে। তার কাঁধে সমস্যা রয়েছে। শেষ দুই ম্যাচে ভুগেছে তাসকিন। ডাক্তার ও ফিজিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে দুই ম্যাচের বিশ্রাম দিতে।'
তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে না পেলেও শেষ চার ম্যাচে তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ দলনেতা, 'আশা করছি, পরের চার ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে, যেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সে। তাকে আমরা সহজেই টুর্নামেন্টের মাঝপথে হারাতে চাই না। আর আমাদের হাতে তার বদলিও কেউ নেই। তাই তাকে বিশ্রাম দেওয়াটা ভালো হয়েছে। আশা করছি, বাকি চারটি ম্যাচ খেলতে পারবে।'
অনিশ্চয়তা রেখে দিয়েছেন সাকিব
ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রচুর ঘাম ঝরাতে দেখা গিয়েছে সাকিবকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি তার। তাই গত কয়েক দিনের জোরালো অনুশীলনেও শঙ্কা কাটেনি। কারণ এ নিয়ে কুলুপ এঁটেছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। এমন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও ধোঁয়াশা রেখে যান অধিনায়ক সাকিব।
তাই মাংসপেশির চোটে থাকা সাকিব খেলবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দূর হলো না এবারও, 'গতকাল যখন অনুশীলন করেছি, কোনো কিছু (অস্বস্তি) অনুভব করিনি। নেতিবাচক কোনো কিছু অনুভব করিনি। আজও অনুশীলন করব। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে আশা করি, তাহলে ফিট ইনশাআল্লাহ।'
'ফিটনেসের প্যারামিটার আসলে কী? হ্যাঁ, আজকের ফিটনেস পরীক্ষা (শেষে বোঝা যাবে)। ব্যাটিংয়ে গতকালকে কোনো সমস্যা হয়নি। মনে হয় না আজকেও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা। রানিং করা হয়নি, রানিং করে দেখা হবে। যদি রানিংয়ে কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে আলহামদুল্লিাহ (খেলতে পারব),' যোগ করেন সাকিব।
Comments