আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

কোহলি-গিলের ক্যাচ মিসের আক্ষেপ লঙ্কান অধিনায়কের

ম্যাচের শুরুতেই শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির ক্যাচ মিস করে লঙ্কানরা।

কোহলি-গিলের ক্যাচ মিসের আক্ষেপ লঙ্কান অধিনায়কের

ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বল। শুবমান গিলের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিলেন বোলার দিলশান মাদুশাঙ্কা। পরের ওভারের প্রথম বলে এবার বিরাট কোহলির ক্যাচ ফেললেন দুশমান্থা চামিরা। তিন বলের ব্যবধানে দুই ক্যাচ মিসের সঙ্গেসঙ্গে যেন ম্যাচটাও মিস করে ফেললো শ্রীলঙ্কা। সেই দুই ব্যাটার প্রায় সেঞ্চুরির কাছে গিয়েই তবে থেমেছেন। লঙ্কানদের দুর্দশার শুরু তো তখন থেকেই।

বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের কাছে ৩০৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে শ্রীলঙ্কা। তাতে বিশ্বকাপে কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের সবচেয়ে বড় হারের বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে দলটি। তবে বিব্রতকর রেকর্ডটি এক প্রকার 'লজ্জা'য় পরিণত হয়েছে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে। বিশ্বকাপে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দল এর আগে এতো অল্প রানে গুটিয়ে যায়নি।

তবে গল্পটা ভিন্নও হতে পারতো। যদি সেই দুই ক্যাচ লুফে নিতে পারতেন লঙ্কান ফিল্ডাররা। গিল যখন ক্যাচ তুলে দেন তখন তিনি ছিলেন ৮ রানে। এরপর ৯২ রান করে আউট হয়েছেন এই ওপেনার। আর ব্যক্তিগত ১০ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন কোহলি। তার সংগ্রহ দিন শেষে ৮৮ রান। সবচেয়ে বড় কথা দ্বিতীয় উইকেটে তারা উপহার দিয়েছেন ১৮৯ রানের জুটি। তাতেই তো বড় পুঁজির ভিত পায় স্বাগতিকরা।

ম্যাচ শেষে তাই স্বাভাবিকভাবেই সে ক্যাচ ছাড়ার আক্ষেপে পুড়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস, 'মাদুশাঙ্কা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। আমরা বিরাট এবং গিলের সুযোগগুলো মিস করেছি এবং কখনো কখনো এই সব মুহূর্তগুলো ম্যাচকে বদলে দেয়। তবে মাঝের ওভারগুলোতে আমাদের বোলাররা ভালো পারফর্ম করেছিল।'

এদিন টস জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আগে ফিল্ডিং বেছে নেয় দলটি। তখন থেকেই ভুলের শুরু বলে জানান লঙ্কান অধিনায়ক, 'আমি দলের পারফরম্যান্সে খুবই হতাশ। এমনকি নিজের পারফরমেন্সেও। ভারত সত্যিই ভালো বোলিং করেছে, আলোতেও কিছুটা সীম মুভমেন্ট ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ম্যাচ হেরেছি। আমরা প্রথমে বল করতে চেয়েছিলাম কারণ আমি ভেবেছিলাম প্রথমের দিকে উইকেট স্লো হবে।'

ভারতের কাছে বড় হার মানলেও জটিল সমীকরণে এখনও সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন টিকে আছে শ্রীলঙ্কার। তাই পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় দেখান মেন্ডিস, 'ভারতীয় দলের বোলাররা প্রথম ৬ ওভারে সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং আমি মনে করি আমাদের তাদের পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের আরও ২টি খেলা বাকি আছে এবং আমি আশা করি আমরা পরের ম্যাচে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh rubber imports rise 33 percent FY25

Rubber imports rose 33% last fiscal year

Import reliance grows as domestic rubber supply chain faces disruption

14h ago