কারাসিন বলেন, ‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই আলোচনায় যুক্ত করব। সর্বোপরি, জাতিসংঘ ও সুনির্দিষ্ট কিছু দেশ এতে যুক্ত হবে।’
ইউক্রেনে সার্বিক যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতি চুক্তি করতে সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠক করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা।
রিয়াদের রিৎজ-কার্লটন হোটেলে বৈঠকের আয়োজন করেছে সৌদি মধ্যস্থতাকারীরা।
জেলেনস্কি জানান, ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যে আংশিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে মতৈক্য হয়েছে, তার ফলে দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র, বন্দর ও রেল পরিষেবার ওপর হামলা বন্ধ হবে।
এতে উভয় দেশেরই অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ট্রাম্প জানান, যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে ‘কিছু সুনির্দিষ্ট সম্পদ ভাগাভাগি করে নেওয়ার’ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইতিবাচক বলে তারা মনে করছেন।
ফক্স বিজনেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক দাবি করেন, যে কম্পিউটার সিস্টেম থেকে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে তার আইপি অ্যাড্রেস ইউক্রেনের। কিন্তু এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দেননি।
এমন সময় সৌদি আরবে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে যখন রাশিয়া ও ইউক্রেন, উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। অপরদিকে, ইউক্রেনকে সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য সহায়তা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারণের আলোচনায় অংশ নেওয়ারই সুযোগ পাবে না কিয়েভ।
দেখার বিষয়, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ট্রাম্পজমানার নতুন দিনে কতটা নতুন কৌশল বের করে নতুন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেন।
‘আমি খুব সহজেই এই চুক্তি করাতে পারতাম। কিন্তু জেলেনস্কি সিদ্ধান্ত নিলেন যুদ্ধ করার।’
রাশিয়া ১৯৯১ সাল থেকে ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করে আসছিল।
কিয়েভ ও সিউলের দাবি মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সাহায্য করতে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
পিয়ংইয়ং ও মস্কোর সামরিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় গত নভেম্বরে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করতে প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করে উত্তর কোরিয়া।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের মাত্রা অনেক বাড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের আগে যত বেশি সম্ভব ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলে করে নেওয়ার...
এই হামলাকে পুতিন ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
রুশ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল ও তার সহকারীকে রাজধানী মস্কোতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা (এসবিইউ)। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া।
রুশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষই এই বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে।