ইউরোপের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গতকাল সোমবারের বৈঠক সফল হয়েছে। ফলে, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে জেলেনস্কির সঙ্গে রুশ নেতা পুতিনের শান্তি আলোচনার পথ সুগম হলো।
সোমবারের ওই বৈঠকে যোগ দিতে ইউরোপের কয়েকজন শীর্ষ ও সুপরিচিত নেতা ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। তারা নিজেদেরকে ‘ইচ্ছুকদের জোট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায় রাশিয়া যুদ্ধের অবসান প্রক্রিয়াকে জটিল করছে।
জেলেনস্কির ধারণা, পুরো আলোচনার ফলাফল ‘নির্ভর করবে’ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
প্রায় চার বছর পর দুই দেশের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হতে চলেছে। এই বৈঠককে ঘিরে রয়েছে পাহাড়সম প্রত্যাশার চাপ। তবে যুদ্ধ অবসান নিয়ে মস্কো, কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের রয়েছে ভিন্ন চিন্তাধারা।
এত জায়গা থাকতে বরফে ঢাকা আলাস্কায় কেন বৈঠকের আয়োজন করলেন ট্রাম্প’, সেটা জানতে সবাই আগ্রহী। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।
মস্কোতে পুতিন ও ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের বৈঠকের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবারের হামলার পর আজ ইউক্রেনে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটি রাজধানী কিয়েভের ওপর সংঘটিত সবচেয়ে মারাত্মক হামলার...
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিমা বিশ্বে মোটামুটি ব্রাত্য হয়ে পড়েন রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ বিষয়ে ব্যতিক্রমী মনোভাব দেখান ট্রাম্প।
সেখানে তারা ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা আবার শুরুর ব্যাপারে কথা বলেছেন।
তদন্তকারীরা বলছেন, এর আগে ইউক্রেনের হামলাগুলোর সঙ্গে এই হামলার মিল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের জরুরি সেবাদাতা সংস্থা সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানায়, ‘রাশিয়া কিয়েভের বিরুদ্ধে বড় আকারের সমন্বিত হামলা শুরু করেছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, রুশ হামলা আবারও শুরু হওয়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিগগির যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকে ট্রাম্প ও তার বিলিয়নিয়ার মিত্র ইলন মাস্ক দুই লাখের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন।
চূড়ান্ত চুক্তিটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সই হতে পারে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের গুটিয়ে নিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফকে নিজেই স্বাগত জানান।
কারাসিন বলেন, ‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই আলোচনায় যুক্ত করব। সর্বোপরি, জাতিসংঘ ও সুনির্দিষ্ট কিছু দেশ এতে যুক্ত হবে।’
ইউক্রেনে সার্বিক যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতি চুক্তি করতে সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠক করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা।