ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ইসরায়েল নিরন্তর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজনের বীজ বপন করে চলেছে। মুসলিম দেশগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চায় ইসরায়েলি শাসক।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ওয়াশিংটন ও তেহরান বেশ কয়েক দফা আলোচনা ও দরকষাকষিতে অংশ নেয়। কিন্তু এই উদ্যোগে বাদ সাধে ইসরায়েল।
বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনা জানায়, ‘নিরীহ বেসামরিক মানুষের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকলে সেজন্য আইডিএফ অনুতপ্ত।’
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যু, অনাহার ও দুর্ভোগের সঙ্গে ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃত্যুও ডেকে এনেছে। এতে বিচার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন নেতানিয়াহু।
কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। পরোক্ষ বৈঠকে হামাস ও ইসরায়েল তাদের শর্তগুলো উপস্থাপনের পর দরকষাকষি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু থেমে নেই ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ।
গাজা-যুদ্ধকে মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘মূল বাধা’ হিসেবে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, এই সংঘাতের অবসান না হলে আরব বিশ্বের বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর সমর্থন হারাবে ইসরায়েল।
মার্কো রুবিও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় আলবানিজকে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের প্রচারণার’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াল সব চিত্র দেখে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ড্যানিয়েল।
ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহের যুদ্ধে দেশটির অন্তত ৯৩৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
প্রায় ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৬ হাজারের বেশি শিশু।
বিচারকদের সামনে এক রুদ্ধদ্বার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে নেতানিয়াহু, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ও মোসাদ প্রধান যুক্তি দেন। তারা জানান, কী কারণে নেতানিয়াহুর সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা উচিত।
বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, এভিন কারাগারের হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছেন।’
‘বেসামরিক নাগরিকদের নির্মূলে “অনাহারে” রাখাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল।’
নেতানিয়াহুর পক্ষ নিয়ে তার বিরুদ্ধে চলা বিচারিক কার্যক্রমকে ‘উইচ হান্ট’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ট্রাম্প।
গতকাল নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি করার প্রক্রিয়ায় আছেন, যার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
শুরু থেকেই জিএইচএফের সঙ্গে বিতর্ক জড়িয়ে আছে। নতুন করে ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই জিএইচএফ'র বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমাতজিয়া বারাম এক সাক্ষাৎকারে যুক্তি দেন, ইসরায়েলকে যথেচ্ছা হামলার সুযোগ দেওয়ায় সিরিয়ার নবগঠিত সরকারের উপকার হয়েছে।
ইরানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসনের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।