বিবৃতির একটি কপি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জমা দিয়েছে ওআইসির পর্যবেক্ষক কার্যালয়। এটি জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবে প্রকাশিত হবে।
জোটের নেতাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসের মূল উৎস ইরান।’
টানা চার দিন ধরে চলছে ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষ আরও মারাত্মক হামলার হুমকি দিয়েছে।
ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আজ সকালে তেল আবিবের বাসিন্দারা ছিলেন উদ্বেগ-আতঙ্কে। সর্বত্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করেন সিএনএনের জেরুজালেম সংবাদদাতা জেরেমি ডায়মন্ড।
শুক্রবার ট্রাম্প রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে ‘আমরা সব কিছুই জানতাম’।
ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তুত।
গত কয়েক দশক ধরেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে সতর্কতা প্রকাশ করে আসছিলেন নেতানিয়াহু।
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা এবং দুই বছর ধরে চলা আঞ্চলিক সংঘাতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরানের মিত্ররা। তাই তারা নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়াতে চাইছে না।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের সাম্প্রতিক ইতিহাস তুলে ধরেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি নারী শিরি বিবাসের মরদেহের পরিবর্তে এক অজ্ঞাত গাজাবাসী নারীর মরদেহ পাঠিয়েছে হামাস।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা আরব দেশগুলোকে একতাবদ্ধ করলেও চলমান যুদ্ধ শেষে গাজার শাসনভার কে বা কারা নেবেন এবং গাজা পুনর্নির্মাণের অর্থায়ন কী ভাবে হবে, সে বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে।
হামাস সদস্যদের কড়া প্রহরায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়।
যুদ্ধবিরতির মাঝেই রাফাহ শহরের আস-সালাম, ইদারি ও তেল জারাব এলাকায় ৬৪টি ভবন ধ্বংস করেছে তারা।
আজ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মঞ্চে তুলে হামাস যোদ্ধারা।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও হামাসকে সময় বেধে দিয়ে বলেছিলেন, একজন-দুইজন নয়, শনিবার বাকি সব জিম্মিকেই মুক্তি দিতে হবে।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, গাজাকে একটি ‘বড় আকারের আবাসন প্রকল্প’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর উচিত নতুন করে এ অঞ্চলের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেওয়া।
প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি ও প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি সহায়তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সিনেটর টেড ক্রুজ দ্য ডেইলি কলারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পূর্বশর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। এই শর্ত নিয়ে কোনো দরকষাকষি সম্ভব নয়, এটাও নিশ্চিত করেছে রিয়াদ।