‘আজকে দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
যে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ, জালিয়াতিতে ভরপুর, সেই নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করলেই নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত হয়ে যায়—এমন ধারণা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রে নেই।
নির্বাচনের সময় ঘোষণায় মাঠ দখল নিয়ে বিএনপি যদি লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সামগ্রিকভাবে অচল করে দিতে চায়, তাহলে সরকারের সমর্থক দেশি-বিদেশি মহলের বিরাগভাজন হয়ে উঠতে পারে বিএনপি।
উত্তাল সাগরে চলমান জাহাজের হাল ছেড়ে যেতে পারেন না একজন ক্যাপ্টেন
অন্তর্বর্তী সরকার কি ক্ষমতা ছাড়বে, নাকি এ সরকারের ক্ষমতাকাল আরও দীর্ঘ হবে? তাহলে রাজনৈতিক স্বপ্নভঙ্গই কি এ ভূখণ্ডের মানুষের নিয়তি?
সম্প্রতি কি বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেছে যার কারণে আমাদের এই বিশ্বাস জোরদার হবে যে, আমরা গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছি?
সম্পাদক পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার কি সংস্কার করেই নির্বাচনে যাবে? নাকি, নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে?
তিনি বলেন, একটা বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধাভোগী জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে।
‘অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের যে পূর্বশর্ত, তা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিপালিত হয়নি।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের দল, এই দলকে কখনোই মুছে দেওয়া যাবে না, কখনোই ধ্বংস করা যাবে না।
নিরঙ্কুশ বিজয়ে পথ যতটা সহজ হবে বলে মনে হয়, বাস্তবে ততটা নাও হতে পারে। বিজয় স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল ও আলোকদীপ্ত, কিন্তু নিরঙ্কুশ বিজয় অনিবার্যভাবেই অন্ধকারও নিয়ে আসতে পারে।
৭ জানুয়ারি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। নির্বাচন যাতে না হয়, সেই চক্রান্ত এখনো চলছে। আমরা বলেছি নির্বাচন হবে।
বিএনপির রোববারের অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। সেই চেতনাটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক, যার মূল কথাটি হচ্ছে মানুষে মানুষে অধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
গণতন্ত্র সম্পর্কে এত যে কথা বলা হয় তাতে ধারণা করা মোটেই অসঙ্গত নয় যে, গণতন্ত্র জিনিসটা কী সে বিষয়ে সবাই একমত।
দেশে দূর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও বর্তমান সরকারের দুঃশাসন স্বৈরাচার কর্তৃত্ববাদের আরেক ভিত্তি তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।
‘আইনটি পাস হলে তা ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক হবে। জনসাধারণকে নির্বিচার আটক ও হয়রানির ঘটনা বাড়বে।’