গণতন্ত্রে সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদই দেশের বিচার বিভাগের আওতার বাইরে থাকতে পারে না। এটাই হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী ও দমনমূলক ধারা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং ক্ষমতার প্রকৃত মালিক—জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, এই সময়টা আমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়ার সময়।
নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হওয়ার পর অনেকের মাথা বিগড়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার যখন নিজের জায়গায় থাকে, তখনই মানুষ তার কাজকে সম্মান করে।
‘আজকে দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
যে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ, জালিয়াতিতে ভরপুর, সেই নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করলেই নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত হয়ে যায়—এমন ধারণা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রে নেই।
নির্বাচনের সময় ঘোষণায় মাঠ দখল নিয়ে বিএনপি যদি লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সামগ্রিকভাবে অচল করে দিতে চায়, তাহলে সরকারের সমর্থক দেশি-বিদেশি মহলের বিরাগভাজন হয়ে উঠতে পারে বিএনপি।
উত্তাল সাগরে চলমান জাহাজের হাল ছেড়ে যেতে পারেন না একজন ক্যাপ্টেন
‘দেশীয় হানাদার শক্তি জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রত্যেকটি অধিকার হরণ করে একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।’
‘দীর্ঘ ২৯ বছর অগণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশ শাসন করেছে।’
এত বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে টিআইবির সমালোচনা ও চরিত্রহনন করে কোনো ক্ষমতাসীন সরকার কি একটুও উপকৃত হয়েছে? তারা যদি টিআইবির প্রতিবেদনগুলো আরও ভালো করে যাচাই-বাছাই করত, তাহলে কি আরও উপকৃত হতে পারত না?
এক মতবিনিময় সভায় তারা এ উদ্বেগ জানান।
তিনি বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নিরস্ত্র জনসাধারণ রাজপথে থেকে, সরকারের বন্দুক-বুলেটকে মোকাবিলা করে, সরকারকে পরাজিত করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
‘অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের যে পূর্বশর্ত, তা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিপালিত হয়নি।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের দল, এই দলকে কখনোই মুছে দেওয়া যাবে না, কখনোই ধ্বংস করা যাবে না।
নিরঙ্কুশ বিজয়ে পথ যতটা সহজ হবে বলে মনে হয়, বাস্তবে ততটা নাও হতে পারে। বিজয় স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল ও আলোকদীপ্ত, কিন্তু নিরঙ্কুশ বিজয় অনিবার্যভাবেই অন্ধকারও নিয়ে আসতে পারে।
৭ জানুয়ারি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। নির্বাচন যাতে না হয়, সেই চক্রান্ত এখনো চলছে। আমরা বলেছি নির্বাচন হবে।